জাতীয়

তাপপ্রবাহে কাটবে পহেলা বৈশাখ

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরে তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। সাম্প্রতি তাপপ্রবাহের তীব্রতা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। চৈত্রের শেষদিনে (বৃহস্পতিবার) এটি কিছু কিছু এলাকায় ‘তীব্র তাপপ্রবাহে’ রূপ নিয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের প্রথম দিনে অধিকাংশ এলাকাতেই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দেশের তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গেছে। এটা আরও বাড়তে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থানে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানেও বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। বৈশাখের শুরুটা কাটবে এভাবেই। ১৬ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহের মাত্রা কমতে পারে। এরপর থেকে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে ক্রমান্বয়ে। আর এপ্রিলের শেষের দিকে হতে পারে কালবৈশাখী।

এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ফলে আজ (শুক্রবার) সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগসহ এবং ঢাকা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। ঢাকায় পশ্চিম/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার।

আগামী দু'দিন তাপমাত্রাও আরও পারতে পারে। বর্ধিত পাঁচদিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মোংলায় ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহীর ঈশ্বরদীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যশোরে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ফরিদপুরে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুমারখালীতে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।