জাতীয়

আগুন নিয়ন্ত্রণে ঢাকা কলেজের স্বেচ্ছাসেবীরা

রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার নিউ সুপার মার্কেটের ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি, পুলিশের পাশাপাশি কাজ করেছেন ঢাকা কলেজের বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্ট ও রোভার স্কাউটের স্বেচ্ছাসেবীরা।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে দেখা গেছে তাদের। আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা, পানির বোতল, ও অ্যাম্বুলেন্সে উঠাতেও সাহায্য করেছেন এই স্বেচ্ছাসেবীরা। এছাড়াও তারা ক্ষতিগ্রস্থ ও আশপাশের দোকান থেকে মালামাল বের করতে ব্যবসায়ীদের সাহায্য করছিলেন।

বিএনসিসি'র ঢাকা কলেজ প্লাটুনের প্রাক্তন ক্যাডেট কর্পোরাল মহিবুল্লাহ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সবসময় স্বেচ্ছাসেবী কাজে এগিয়ে আসেন। আমরা রোজা রেখে সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করছি। দোকানে থাকা ব্যবসায়ীদের পোশাক মাথায় নিয়ে ভ্যানে তুলে দিচ্ছে আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা। উৎসুক জনতাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য আমারা কাজ করছি।’

রেড ক্রিসেন্ট ঢাকা কলেজ ইউনিটের লিডার ফরহাদ হাসান বলেন, ‘আমারা আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছি। আহত ফায়ার ফাইটারদের অ্যাম্বুলেন্সে উঠাতে সাহায্য করছি। এছাড়াও ধোয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের পানি দিয়ে সাহায্য করছি। আমাদের ঢাকা কলেজের পুকুরে পানি দিয়ে নিউ সুপার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। আমরা পানির পাইপ নিরাপদে রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-মিডিয়া) শাহজাহান সিকদার জানান, শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগে। ৫টা ৪৩ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

সকাল ৯টা ১০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলনে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। এছাড়াও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করছে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও। আর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও বিজিবির সদস্যরা কাজ করছেন।

ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য মতে ১৯ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের অফিসার এক জন, ফায়ারফাইটার ১৩ জন, ভলান্টিয়ার ২ জন, আনসার সদস্য ২ জন এবং বিমান বাহিনীর এক জন সার্জেন্ট রয়েছেন। আহতরা ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।