পে-স্কেলসহ ছয় দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
বৃহস্পতিবার সংগঠনটির মহাসচিব মো. তোয়াহা স্বাক্ষরিত প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো আবেদনে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানবেতর জীবনযাপনের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ছয় দফা দাবি পূরণ না হলে কিংবা বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দেওয়া হলে আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে সচিবালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানানো হয়।
আবেদনে তারা বলেছেন, জাতীয় পে-স্কেল ২০১৫ বাস্তবায়নের পর তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ দিশাহারা হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ৪-৫ গুণ বৃদ্ধি পেলেও বিগত আট বছর ধরে জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা না করায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা বৃদ্ধি পায়নি।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতনভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সমীপে ২৫ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।
অদ্যাবধি ২৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন না করায় বাজেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত দাবিগুলোর মধ্য হতে জরুরি ভিত্তিতে উল্লেখযোগ্য ছয়টি দাবি বাস্তবায়নের জন্য পুনরায় অনুরোধ করছি-
* জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা করতে হবে। * জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত ৫০ শতাংশ মহার্ঘভাতা প্রদান করতে হবে। * বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশের স্থলে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে। * চিকিৎসাভাতা, শিক্ষাভাতা, যাতায়াতভাতা ও টিফিনভাতাসহ অন্যান্য ভাতা দ্বিগুণ করতে হবে। পাঁচ. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ন্যায় সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য রেশনিং পদ্ধতি চালু করতে হবে। * বঙ্গভবনের ন্যায় সচিবালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ৩০ শতাংশ বিশেষ ভাতা প্রদানসহ অন্যান্য সব সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে হবে।