জাতীয়

জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক প্রকল্প পরিদর্শন করলেন আমিনা জে মোহাম্মদ

জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন গ্রুপের প্রধান আমিনা জে মোহাম্মদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বাগেরহাট জেলার মোংলা সফর করেছেন।

জলবায়ু অভিযোজনে স্থানীয় পর্যায়ের উদ্যোগ গ্রহণ ও সহনশীলতা সৃষ্টিতে জাতিসংঘ কীভাবে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করছে তা পর্যবেক্ষণই ছিল এ সফরের মূল উদ্দেশ্য।

সোমবার ঢাকার ইউএনডিপি অফিস জানায়, সফরকালীন তিনি বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সুইডেন সরকার, ইউএনডিপি ও ইউএনসিডিএফ কর্তৃক যৌথভাবে গৃহীত ‘লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক)’ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। প্রকল্পটি স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু ঝুঁকিপ্রবণ জনগোষ্ঠী এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে অর্থায়ন ও জলবায়ু অভিযোজনে উদ্যোগ গ্রহণ ও সহনশীলতা সৃষ্টিতে কাজ করে থাকে।

এ সফরে তিনি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন যারা লজিক প্রকল্প থেকে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন। প্রকল্পটি ‘জলবায়ু সহনশীল তহবিল’ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের জলবায়ু সহনশীল উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে।

যেমন-লোনা জলের মাছের পলিকালচার, সবজি চাষ, ভেড়া ও হাঁস পালন ইত্যাদি। এছাড়া নিকটবর্তী একটি স্কুলে কমিউনিটিভিত্তিক বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কারণে প্রায় ২০০ পরিবার নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে পারছে।

উপ-মহাসচিব জলবায়ু সহনশীলতা সৃষ্টিতে স্থানীয় নেতৃত্ব, উদ্ভাবন ও প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং স্থানীয় পর্যায়ে গৃহীত উদ্যোগের প্রশংসা করেন। এ ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়নে জাতিসংঘের সহযোগিতা চলমান রাখার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

বাগেরহাট জেলায় বাস্তবায়িত ‘লজিক’ প্রকল্প, একটি টেকসই অর্থায়ন মডেল হিসেবে স্থাপিত হয়েছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এছাড়া লজিক প্রকল্প জেন্ডার সমতা বাস্তবায়নে নারীর ক্ষমতায়ন ও প্রচলিত জেন্ডারভিত্তিক বৈষম্য নিরসনে কাজ করে। নারীদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে প্রকল্পটি নারীদের ব্যক্তিগত ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।

সফরে হাবিবুন নাহার, এমপি, উপমন্ত্রী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস, ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিতসহ সরকার ও জাতিসংঘের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।