ডেঙ্গু প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ উদ্বোধন করেন।
মেয়র বলেছেন, ২০২১ সাল থেকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমরা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে কার্যক্রম তদারকি করছি। আমরা ২০২১ সালে এক মাসের জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু রেখেছিলাম। ২০২২ সালে যখন ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পেলো, তখন আমরা তা দুই মাসে বর্ধিত করি। ২০২২ সালে আমরা দেখেছি যে, এডিস মশার বিস্তৃতি আশ্বিন মাস পর্যন্ত হয়েছে। সেজন্য ২০২৩ সালের কর্মপরিকল্পনায় আমরা তিন মাসব্যাপী এ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সূচি অনুযায়ী, পহেলা শ্রাবণ এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালুর কথা থাকলেও এবার দুই দিন আগেই চালু করলাম।
জনগণ সচেতন হলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সুফল প্রতিফলিত হবে, উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, আমাদের কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনার আলোকে ৭৫টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৪০ জন মশককর্মী মাঠ পর্যায়ে নিবিড়ভাবে কাজ করেন। এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে এ কার্যক্রম সরাসরি (ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে) তদারকি করব। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা গত দুই বছরও সুফল পেয়েছি। এবারও আমরা সুফল পাবো বলে আশাবাদী। তবে, সেজন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাই।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম তদারকির পদ্ধতি উল্লেখ করে মেয়র বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আমরা যে তালিকা পাই, সেই তালিকা থেকে প্রাথমিকভাবে আমরা ডেঙ্গু রোগীর ঠিকানাগুলো চিহ্নিত করি। প্রথম পর্যায়ে আমরা সেই রোগীর ঠিকানা ও আবাসনের আশপাশের ৪০০ গজ এলাকায় বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে সেখানে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করি।
ঢাকাবাসীকে ০১৭০৯৯০০৮৮৮ নম্বরে ফোন দিয়ে এডিস মশার প্রজননস্থল বা লার্ভা সম্পর্কিত তথ্য জানাতে অনুরোধ জানিয়েছেন মেয়র। এছাড়া, করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বসবাসরত যেকোনো নাগরিক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ফেসবুক পেজের (https://www.facebook.com/officialpage.dscc?mibextid=ZbWKwL) মেসেঞ্জারেও এডিস মশার প্রজননস্থল বা লার্ভা সম্পর্কিত তথ্য কিংবা ছবি ও ভিডিও পাঠাতে পারেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির প্রমুখ।