সুন্দর নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (১৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমি মনে করি, এটি ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা। একটি সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচনের শেষ পর্যায়ে এসে একজন প্রার্থীর ওপর হামলা পরিচালনার উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনকে বিতর্কিত করা।
‘এই হামলার কোনো প্রয়োজন ছিল না। অনুচিত। আমরা গতকালই (১৮ জুলাই) এর নিন্দা জানিয়েছি। যারা এটি করেছেন, তারা সরকারি দলের ওপর কালিমা লেপন করতে চেয়েছেন। নির্বাচন কমিশন বা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এটি করেছেন’, মন্তব্য তথ্যমন্ত্রীর।
হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় সরকার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। সেখানে কাদের ইন্ধন ছিল, তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। কিংবা এই ঘটনা ঘটাতে যে প্রার্থীকে হেনস্থা করা হয়েছে, তার পক্ষ থেকে উসকানি ছিল কিনা; তা খতিয়ে দেখা হবে।
হিরো আলমের ওপর মারধরের ঘটনায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি বা অ্যামনেস্টির টুইটকে জাতিসংঘের ও অ্যামনেস্টির বিবৃতি হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। সে বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেখুন, আমি খুব আশ্চর্য হয়েছি যে জাতিসংঘের এখানকার আবাসিক প্রতিনিধি কিংবা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের টুইটকে জাতিসংঘের ও অ্যামনেস্টির বিবৃতি হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। এভাবে যেটি যা না, সেটিকে তার হিসেবে প্রচার কিংবা সংবাদ তৈরি করা, দিস ইজ ম্যালইনফরমেশন, অপসাংবাদিকতা।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি যদি একটি টুইট করি বা স্ট্যাটাস দিই, সেটি কি সরকারের বক্তব্য হবে? আমি তো তথ্যমন্ত্রী ও দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। কাজেই জাতিসংঘের এখানকার আবাসিক প্রতিনিধি কিংবা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের একটি টুইটকে তাদের বিবৃতি কিংবা উদ্বেগ হিসেবে প্রচার করা সমীচীন না, অপসাংবাদিকতার পরিচয়। তিনি এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্টদের সবাইকে বিরত থাকতে, সতর্ক থাকতে।