জাতীয়

তরুণদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকি কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি

অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, জীবনাচরণসহ নানা কারণে বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় দেশের সকল উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে উচ্চ রক্তচাপ পরিমাপের ব্যবস্থা ও ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

শনিবার (১২ আগস্ট) গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত ‘উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ঝুঁকি এবং বাংলাদেশের যুব সমাজ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন বক্তারা।

গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহায়তায় এই অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক ছিল তরুণদের সংগঠন ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশ, কাশফুল ফাউন্ডেশন, ইটস হিউম্যানটি ফাউন্ডেশন, গিভ বাংলাদেশ এবং সন্ধানী।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে প্রতি ৪ জনে ১ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত এবং তরুণদের মধ্যে এই প্রবণতা ক্রমবর্ধমান। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার চার ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ৪ কোটি ৫৯ লাখই তরুণ। এই বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠীকে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা প্রদানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।

অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, তরুণদের মধ্যেও এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। খাদ্যাভ্যাস ও জীবনাচরণে পরিবর্তন এবং রক্তচাপ পরীক্ষার মাধ্যমে তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ কমানো সম্ভব।

এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেজড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচসি) প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. সাব্বির হায়দার জানান, জীবনাচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে তরুণদের উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান আছে। সরকার ইতিমধ্যে সকল কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, এটি বাস্তবায়িত হলে দেশব্যাপী তরুণসহ সকলের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ কমে আসবে।

ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে আরও যুক্ত ছিলেন প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন প্রজ্ঞা’র কোঅরডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা।