জাতীয়

ই-সিগারেট ও তামাক যুবসমাজকে ধ্বংস করছে: ডেপুটি স্পিকার

ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেন, ধুমপান ই-সিগারেটের মাধ্যমেই হোক অথবা বিড়ি ও সিগারেটের মাধ্যমেই হোক, এটি সর্বাবস্থায় মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক। ই-সিগারেট ও তামাক যুবসমাজকে ধ্বংস করছে।

রোববার (২০ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে ‘ই-সিগারেট: মিথ ও বাস্তবতা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডেপুটি স্পিকার এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ. ফ. ম. রুহুল হক ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। এছাড়া ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, রানা মোহাম্মদ সোহেল, মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার এবং আদিবা আনজুম মিতা গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মাঝে দেশকে তামাক ও মাদকমুক্ত করতে চান। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তামাক ও ধুমপান নিরোধে আইনকে শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরি। একজন অধুমপায়ী ব্যক্তি যেন ধুমপানরত ব্যক্তিকে তাঁর সামনে ধুমপানে নিষেধ করতে পারেন, অধুমপায়ী ব্যক্তির বাধা দেওয়ার এটুকু আইনি ভিত্তি থাকা প্রয়োজন। তামাকবিরোধী আইন সংশোধিত আকারে আসুক তা আমি মনে প্রাণে চাই।

মো. শামসুল হক টুকু বলেন, তরুণ সমাজ কী কী কারণে ই-সিগারেট ও ধুমপানে আসক্ত হচ্ছেন, এ জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং এর প্রতিকার খুঁজে বের করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাদক ও তামাকের ক্ষতিকারক দিকগুলো নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, সাইদুর রহমান, সাংবাদিক সুশান্ত সিনহা এবং মাসুম বিল্লাহসহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।