জাতীয়

ঢাকা সার্কুলার রেললাইন নির্মাণসংক্রান্ত সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ

ঢাকা সার্কুলার রেললাইন নির্মাণসংক্রান্ত সম্ভাব্যতা যাচাই ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রথমে গাবতলী থেকে টঙ্গী ত্রিমুখী রেলপথ নির্মাণ করা হবে। আগামী দু’এক মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

কমিটির পক্ষ থেকে ঢাকা সার্কুলার ট্রেন সার্ভিস দ্রুত চালুর বিষয়ে বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি এ. বি. এম. ফজলে করিম চৌধুরী। বৈঠকে কমিটির সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, মো. শফিকুল আজম খাঁন ও গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোরিয়ান কোম্পানির অর্থায়নে ইতিমধ্যে সার্কুলার ট্রেনের সম্ভাব্যতা সম্পন্ন হয়েছে।

এ সংক্রান্ত প্রকল্পকে ৪টি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে গাবতলী থেকে টঙ্গী ত্রিমুখী বাস্তবায়ন হবে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ইয়ার্ড পূর্বাচলে ছিল, কিন্তু এখন ইয়ার্ড টঙ্গীর ত্রিমুখে নির্মাণ করা হবে। টঙ্গী ত্রিমুখী থেকে গাবতলী পর্যন্ত অ্যালাইনমেন্ট ধরে করা হচ্ছে।

এ ছাড়া, টঙ্গী ত্রিমুখীতে ইয়র্ক করার লক্ষ্যে কাজ করছে। উক্ত কোম্পানি সকলের সাথে আয় বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

এদিকে বৈঠকে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও প্রীতিলতার স্মৃতি বিজড়িত ইউরোপিয়ান ক্লাব অতিদ্রুত সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং চট্টগ্রাম সিআরবিতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত পাহাড়ের ওপর অবস্থিত কাঠের ডাকবাংলোটি চলতি মাসের মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি যাদুঘরে রূপান্তরের সুপারিশ করা হয়েছে।

এ ছাড়া, বৈঠকে রেলওয়ের ভূমি ব্যবস্থাপনা মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও প্রীতিলতার স্মৃতি বিজড়িত ইউরোপিয়ান ক্লাব সংরক্ষণ এবং আখাউড়া-সিলেট মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তরকরণের অগ্রগতি, সিলেট-সুনামগঞ্জ রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পটির অগ্রগতি, চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ও নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ে কারখানাটি আধুনিকায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন ও আলোচনা হয়।