জাতীয়

‘বঙ্গবন্ধুকে যখন সপরিবারে হত্যা করা হয়, কোনো দেশ মানবতার কথা বলেনি’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে খুনিরা যখন বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যা করে, তখন পৃথিবীর কোনো দেশ মানবতার গান গায়নি। তাদের মৃত্যুতে শোকবার্তাও পাঠায়নি। আজ বিভিন্ন দেশ মানবতার জন্য হুঙ্কার দেয়। কিন্তু, এতগুলা মানুষকে যে হত্যা করা হয়েছিল, তখন কারো মুখে কোনো কথা শোনা যায়নি।’

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ অডিটোরিয়ামে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইনের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা যাবে না, এমন কালো আইন তখন করা হয়েছিল। খুনির বিচার করা যাবে না, এমন কালো আইন পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও আছে বলে আমার জানা নেই।’

ড. মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সরকারে আসার পর, এই কালো আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের ব্যবস্থা করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেন।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জেলের ভিতরে জাতীয় চার নেতাকেও হত্যা করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল— স্বাধীনতার চেতনায় যারা বিশ্বাস করে, তাদের সম্পূর্ণভাবে মূলোৎপাটন করা।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যেসব দল আছে, তারা সন্ত্রাস ও খুন-খারাবিতে বিশ্বাস করে এবং তারা যখন সরকারে এসেছে, তখন তারা এই কাজটাই করেছে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন এবং সেগুলো তিনি বাস্তবায়ন করে দেখাচ্ছেন। নারী-পুরুষের বৈষম্য কমিয়েছেন। দেশের জনগণের কল্যাণ কিভাবে করা যায়, শেখ হাসিনা সব সময় সেই চিন্তা করেন।’ 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন—সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনি, সাবেক সচিব মো. শহিদ উল্লা খন্দকার, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট ড. মশিউর মালেক, তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ড. হারুন অর রশিদ।