জাতীয়

সালাহউদ্দিন জাকীর প্রয়াণ অপূরণীয় ক্ষতি: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প যখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তখন সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীর চলে যাওয়াটা চলচ্চিত্র অঙ্গণের জন্য, সাংস্কৃতিক অঙ্গণের জন্য বিরাট অপূরণীয় ক্ষতি। কারণ তার মতো এ কম গুণী নির্মাতা একদিনে তৈরি হয়নি।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সদ্যপ্রয়াত চলচ্চিত্রকার সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীর মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ৭৭ বছর বয়সে প্রয়াত এই সংস্কৃতি ব্যক্তিত্বের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, তিনি একজন গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, পরিচালক, কাহিনিকার ছিলেন। তার প্রথম ছবি ঘুড্ডি, যা দেশে সাড়া ফেলেছিলো এবং সেই সিনেমার ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ গানটি এখনো দেশের মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সালাহউদ্দীন জাকী ভাই একুশে পদকপ্রাপ্ত, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। সবচেয়ে বড় বিষয়, তিনি একজন সজ্জন ভদ্র মানুষ ছিলেন। তার চলনে, বলনে কোনো বাহুল্য ছিলো না, নিজেকে জাহির করার কোনো প্রবণতা তার মধ্যে কখনো দেখিনি। তার পরিবার যাতে এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারে সে জন্য মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি।’

রোডমার্চ বিএনপির নেতাদের চলে যাওয়া ঠেকাতে পারবে না এ সময় সাংবাদিকরা বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন করলে ড. হাছান বলেন, ‘নেতাদের চলে যাওয়া ঠেকানোর জন্য বিএনপি এখন রোডমার্চ দিচ্ছে, হয়তো কয়েকদিন পর আরও অন্য কর্মসূচি দেবে। এগুলো করেও বিএনপি থেকে নেতাদের সরে যাওয়া এবং অন্য দলে যোগ দেওয়া কিম্বা নতুন প্ল্যাটফর্ম করা তারা ঠেকাতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি কিছুদিন পরপর নানা ধরনের কর্মসূচি দেয়। কর্মসূচির মধ্যে কোনো নতুনত্ব নাই। কয়েকদিন হাঁটা কর্মসূচি, কয়েকদিন বসা কর্মসূচি, কয়েকদিন গণমিছিল কর্মসূচি এগুলো গতানুগতিক। বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো তাদের দল থেকে যে নেতারা চলে যাচ্ছে সেটি নিয়ে কিছু বলার জন্য।’

তথ্য মন্ত্রণালয়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার এদিন বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন সংস্থাগুলোর মধ্যে মনোনীত কর্মচারীদের হাতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার ও ঊর্ধ্বতন কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা ২০২১ অনুযায়ী দপ্তর প্রধান হিসেবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মুহ. সাইফুল্লাহ, ২য় থেকে ৯ম গ্রেডের অফিসারদের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (প্রশাসন-৪) মো. রাশিদুল করিম, ১০ম থেকে ১৬তম গ্রেডের মধ্যে প্রশাসনিক কর্মকর্তা কোহিনূর আক্তার প্রীতি, ১৭তম থেকে ২০তম গ্রেডের মধ্যে অফিস সহায়ক শেখ মো. সাইফুল্লাহ এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।