স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বৈষম্য ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে ১৯৭১ সালে আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। যেসব অধিকার আদায়ের জন্য আমরা পাকিস্তান থেকে মুক্ত হয়েছিলাম, তার মধ্যে সব ধর্মের নাগরিকদের সমান অধিকারপ্রাপ্তি অন্যতম। আমাদের সংবিধানেও ধর্মনিরপেক্ষতার যে মূলনীতি আছে, তাতে ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার—এই নীতিই উল্লেখ রয়েছে। ফলে, বাংলাদেশের সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার আছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় বাংলাদেশ সেবাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা পরমরাধ্য গুরুদেব শ্রীমৎ আচার্য বিবেকানন্দ গোস্বামীর ১০০তম জন্মজয়ন্তী ও নবনির্মিত মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযুদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি এবং রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এমপি। মন্দিরের উদ্বোধন করেন শ্রী মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি।
এ সময় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সকল ধর্মের নাগরিকদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ অথবা সংখ্যালঘু হিসেবে দেশের মানুষকে বিবেচনা করে না।
ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন সৃষ্টি করে দেশে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যজনক পরিবেশ বিনষ্ট করতে বিএনপি-জামায়াত সব সময় সক্রিয় আছে, অভিযোগ করে তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে, তা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচারকেও হার মানায়।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যতটা নির্বিঘ্নে অন্যান্য ধর্মের মানুষ তাদের ধর্ম-কর্ম, আচার-আচরণ পালন করতে পেরেছেন, তা ধর্মীয় সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।