জাতীয়

রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল বেড়েছে, যাত্রী কম

বিএনপি-জামায়াতসহ কয়েকটি দল ও জোটের চতুর্থ ধাপের টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের শেষ দিনে রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল বেড়েছে। চিরচেনা যানজট ছাড়াই চলাচলা করছে বাস, সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন। তবে যাত্রী সংকটে চলছে না দূরপাল্লার বাস।

আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাস, মিনিবাস, অটোরিকশা, পণ্যবাহী মিনিট্রাক, মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাও চলতে দেখা যায় সড়কগুলোতে। মিরপুর-১, কল্যাণপুর, শ্যামলী বাসস্টপে যাত্রীদের অপেক্ষায় বেশ কয়েকটি বাস দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা গেছে। তবে যাত্রীর চাপ কম। কিন্তু আগের অবরোধের দিনগুলোর তুলনায় যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। মূলত এই অবরোধ কর্মসূচি সপ্তাহের শুরুতে হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবীরা।

প্রজাপতি পরিবহনের হেলপার রিপন মিয়া বলেন, গত কয়েকদিনের অবরোধের তুলনায় আজ সড়কে যাত্রীর সংখ্যা একটু বেশি। মানুষ প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হচ্ছে। আমরাও পেটের চিন্তায় কাজে আসছি।

ঢাকার প্রায় প্রতিটি মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। বেশ কয়েকটি মোড়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের অবস্থান নিতেও দেখা গেছে। মিরপুর-১ নম্বর চায়নিজের বিপরীতে ছাউনী বানিয়ে গান বাজাতে দেখা গেছে দলীয় কর্মীদের।

বিএনপির পাশাপাশি গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২-দলীয় জোট, এলডিপি, গণ অধিকার পরিষদসহ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো পৃথকভাবে অবরোধের কর্মসূচি পালন করছে। জামায়াতে ইসলামীও পৃথকভাবে রোববার ও সোমবার অবরোধ পালন করছে। এর আগে ৩১ অক্টোবর থেকে সারা দেশে অবরোধের কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি। তিন দফায় মোট সাত দিন এই অবরোধ হয়। চতুর্থ দফায় গতকাল ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়।

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, আগের তুলনায় কিছুটা বাস চলাচল বেড়েছে। আগে ১০টি বাস চললে এখন ১৫টি চলছে। তবে অনেকেই আগুনের ভয়ে বাস বের করছে না। আবার সাধারণ মানুষও ভয়ে বের হচ্ছে না। চাকরিজীবী ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তেমন কেউ রাস্তায় বের হচ্ছে না।

বিভিন্ন সূত্রের তথ্য মতে, রোববার ভোর থেকে বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ শুরু হওয়ার পরে বেলা ১১টায় মিরপুরে, সন্ধ্যায় তেজগাঁও, রাতে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় একটি করে বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।