জাতীয়

তিন কেন্দ্রের ফল বাতিল, গেজেট প্রকাশে বাধা নেই

লক্ষ্মীপুর–৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২ আসনের উপনির্বাচনে জালভোট দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই অনিয়ম হওয়া তিনটি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করেছে কমিশন। তবে ভোটের পার্থক্য বেশি থাকায় বিজয়ীদের গেজেট প্রকাশে বাধা নেই বলে জানানো হয়েছে।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিন কেন্দ্রের ফলাফল বাতিলের পাশাপাশি সেখানে দায়িত্বে থাকা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব। একই সঙ্গে জালভোট দেওয়া দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, লক্ষ্মীপুর–৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২ আসনের যে উপনির্বাচন হয়েছিল, এতে কিছু অনিয়ম-সংক্রান্ত তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। সেই তথ্যের আলোকে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারদের মাধ্যমে পৃথক পৃথক তদন্ত করিয়েছে। সেই তদন্তের আলোকে কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

পড়ুন- দুই উপ-নির্বাচনের ফল ও গেজেট স্থগিত

তিনি বলেন, লক্ষ্মীপুর–৩ আসনের ৭৪ নম্বর দক্ষিণ খাগুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কেন্দ্রে জালভোটের কিছু ছবি গণমাধ্যমে এসেছিল। এতে তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন অনুযায়ী অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে। সে অনুযায়ী দুই জনকে জালভোট প্রদানকারী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কমিশন। ওখানে ওই দুই বুথের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এবং কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ আইন–১৯৯১ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া, ওই কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করা হয়েছে। এখন ওই রিটার্নিং অফিসার ওই কেন্দ্রের প্রাপ্তভোট বাদ দিয়ে নতুন করে ফলাফল বিবরণী পাঠালে কমিশন গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করবেন। কারণ ওই আসনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে যে ভোটের ব্যবধান ওই কেন্দ্রের মোট ভোটের চেয়ে বেশি। যে কারণে কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে যে, সংশোধীত ফলাফল বিবরণী পাওয়ার পর গেজেট প্রকাশ করবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২ আসনের উপনির্বাচনে তদন্তকারী কর্মকর্তারা দুটি কেন্দ্রে অনিয়ম পেয়েছেন উল্লেখ করে ইসি সচিব আরও বলেন, কেন্দ্র দুটি হচ্ছে ৯৫ নং যাত্রাপুর নুরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও ১২৭ নং শরীফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই দুই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ আইন–১৯৯১ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার হবে। ওই কেন্দ্র দুটি ফলাফল বাতিল হয়েছে এবং সংশোধীত ফলাফল বিবরণী পাওয়ার পর গেজেট প্রকাশ করবে ইসি।