জাতীয়

জলবায়ু পরিবর্তন: খাদ্য ও কৃষিকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি 

বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশই জলবায়ু সংকটে ঝুঁকির মুখে আছে বলে গবেষণায় দেখা গেলেও একইসময়ে খাদ্য ও কৃষি ব্যবস্থা জলবায়ু পরিবর্তনে গুরুতর প্রভাব ফেলছে। তাই এবারের কপ২৮ জলবায়ু সম্মেলনে ১৩৪টি দেশের নেতারা প্রথম এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ঘোষণাপত্র সই করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং ব্রাজিলসহ বিশ্বে খাবারের ৭০ শতাংশ উৎপাদনকারী দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন রোধের লড়াইয়ে জাতীয় পরিকল্পনায় খাদ্য ও কৃষিকে বিবেচনায় নেওয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

দুবাইয়ে চলমান এই সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং ব্রাজিলসহ অন্য যেসব দেশ বিশ্বে খাবারের ৭০ শতাংশ উৎপাদন করে তারা প্রত্যেকেই জলবায়ু পরিবর্তন রোধের লড়াইয়ে নিজেদের জাতীয় পরিকল্পনায় খাদ্য ও কৃষি খাতকে বিবেচনায় নেওয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বন উজাড় হওয়া, নগরায়ন, জমিতে সারের ব্যবহারের মতো কর্মকাণ্ড থেকে বিশ্বে এক পঞ্চমাংশেরও বেশি কার্বন নিঃসরণ ঘটে। ২০১৫ সালে এক হিসাবে দেখা গিয়েছিল, খাদ্য ব্যবস্থা বিশ্বে প্রায় এক তৃতীয়াংশ উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। খাদ্য ও কৃষি খাতে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হয় ১৮শ’ কোটি টন।

বিবিসি জানায়, কৃষি সংগঠনগুলো কপ২৮ সম্মেলনের ওই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে দেশগুলোকে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে বলেও সতর্ক করেছে।  

তবে সমালোচকরা বলছেন, এই ঘোষণা খুবই অস্পষ্ট। কারণ, খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কীভাবে সামাল দেওয়া হবে সেটি বিশ্ব নেতারা নির্ধারণ করেননি।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বসেছে জলবায়ু বিষয়ক জাতিসংঘের শীর্ষ সম্মেলন কপ এর ২৮তম আসর। আলোচনা চলবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।