আগামী প্রজন্মের জন্য সবুজ বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধভাবে সৌরশক্তিকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও সৌরবিদ্যুতের প্রসারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ৬১.৯ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইডের সমতুল্য গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ— যা সবুজ বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স (আইএসএ) আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, গত বছর আমাদের জ্বালানি মিক্সে ৩০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ সংযুক্ত হয়েছে। ৩৭টি প্রকল্পের মাধ্যমে ২৪০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলমান রয়েছে। অধিকন্তু ৫০০০ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে এবং আরও ৫০০০ মেগাওয়াট অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে।
জমির সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ, সোলার হোম সিস্টেম, মিনি গ্রিড, সৌর সেচ এবং সোলার রুফটপের মাধ্যমে বাংলাদেশ সৌর প্রযুক্তিতে উদ্ভাবনমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি অনুমোদিত সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা-২০২৩-এ আইএসএ’র দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে- যেখানে ২০৫০ সালের মধ্যে বার্ষিক ৫০.৪ ট্রিলিয়ন ওয়াট/আওয়ার পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তাছাড়া আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। টেকসই উন্নয়ন ও পরিচ্ছন্ন ভবিষ্যতের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের কোনও বিকল্প নেই।
আইএসএ’র মহাপরিচালক ড. অজয় মাথুরসহ সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।