দেশের শীতের তাপমাত্রা সামনের দিনে আরও বাড়বে এবং শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে। একই সঙ্গে বাড়বে কুয়াশাও। এই পরিস্থিতি আগামী কয়েকদিন থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এরই মধ্যে দেশের প্রায় সর্বত্র জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। ঘন কুয়াশায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে। দুপুর পর্যন্ত দেখা মিলছে না সূর্যের। এমনকি কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার ঢাকার বিমানবন্দরে প্রায় ৬ ঘণ্টা অবতরণ করতে পারেনি ফ্লাইট।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শীত আরও বেড়ে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। এই কুয়াশা পরিস্থিতিও আগামী কয়েক দিন দেশজুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭ টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আবহাওয়ার পুর্বাভাসে বলা হয়েছে, আবহাওয়া প্রধানত শুস্ক থাকবে। উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হবে। সকাল ৭টায় দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৭ ভাগ। মঙ্গলবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন ১৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার দেশের উত্তরাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সময়জুড়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। বৃহস্পতিবার শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলে এটিই হবে চলতি মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ।