জাতীয়

রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড়

খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবের দিন ২৫ ডিসেম্বর, বড়দিন। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও উদযাপিত হচ্ছে দিবসটি। এ উপলক্ষে আজ সোমবার সরকারি ছুটি। ছুটির দিনটিকে একটু ভিন্ন আমেজে কাটানোর জন্য রাজধানীবাসী বেছে নিয়েছে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রকে।

সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। নগরজীবনের ব্যস্ততা ও ক্লান্তি কাটাতে আনন্দের সঙ্গে সময় কাটানোই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর একাধিক বিনোদন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সেসব কেন্দ্রে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

শনির আখড়ার বাসিন্দা আব্দুল মোমেন তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে এসেছেন শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরে৷ তিনি বলেছেন, শিশু পার্ক দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। এলাম জাদুঘরে। এসে দেখি, এটাও বন্ধ। সারা সপ্তাহ কাজের চাপ এবং রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে পরিবারেরর লোকজন নিয়ে কোথাও যেতে পারিনি। তাই, আজ পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। বাচ্চাদের নিয়ে সারাদিন ঘুরব। তাই, সবাইকে নিয়ে এখানে আসা। এখন বাচ্চাদের নিয়ে চিড়িয়াখানায় যাবো।

তার মতো আরও অনেকেই পরিবার নিয়ে জাতীয় জাদুঘরে এসেছেন। কেউ কেউ বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। জাদুঘর বন্ধ থাকায় হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন অনেকে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, কেউবা গেছেন জাতীয় শহিদ মিনারে। 

অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি ভিড় দেখা গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার স্টুডেন্ট সেন্টার (টিএসসি) ও কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে৷ ছুটির দিনে স্বজন ও বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় সময় কাটাচ্ছেন বিভিন্ন পেশা ও বয়সের মানুষ। চায়ের সাথে আড্ডায় মেতেছেন সবাই। এখানে বিভিন্ন রকমের ও স্বাদের চা পাওয়া যায়।

বেসকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শাহাদাত হোসেন বলেন, সারা সপ্তাহে কাজের চাপে বন্ধুদের সাথে দেখা করার সুযোগ পাই না। বন্ধের দিনে বন্ধুদের সাথে দেখা ও আড্ডা দেওয়ার জন্য টিএসসিতে আসা। প্রায় প্রতি সপ্তাহে ছুটির দিনে বন্ধুদের সাথে এখানে দেখা করে রাত পর্যন্ত আড্ডা দিই।

পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হাতিরঝিলে বেড়াতে আসা আশরাফুল কনক বলেন, স্ত্রী ও ছেলেক নিয়ে হাতিরঝিলে বেড়াতে এসেছি। স্ত্রী-ছেলেকে ব্যস্ততার জন্য বেড়াতে নিতে পারি না। স্কুল বন্ধ বলে ছেলে সারা দিন বাসার চার দেয়ালে বন্দি থাকে, মোবাইলে গেম খেলে। খোলা স্থানে আসতে পেরে অনেক খুশি। ওকে নিয়ে বোটে করে ঘুরব।

রমনা পার্কে ঘুরতে আসা মিলন, সোহাগ, মুজিব, বিপুল, রিপন বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে আমরা কয়েক বন্ধু ঘুরতে এসেছি। সময় পাই না। আজকে ছুটির দিন, তাই সবাই মিলে একসঙ্গে বের হলাম।

পার্কের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আবুল হোসেন বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রমনা পার্কে খুব একটা ভিড় দেখা যায় না। তবে, বিশেষ দিনগুলোতে এখানে মানুষের ঢল নামে। আজ সকাল থেকে ছেলে-বুড়ো, তরুণ-তরুণী অনেকে এখানে ঘুরতে এসেছেন।