বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (৮ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
সব দল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় হতাশ দেশটি। বিবৃতিতে বিরোধীদলের নেতাদের গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিন বিভিন্ন অনিয়মের দাবি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ম্যাথিউ।
সেই সঙ্গে সরকারকে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া সহিংসতার বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের আহ্বান জানান, এই কূটনীতিক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে অবাধ ও মুক্ত রাখতে, বাংলাদেশকে অংশীদার হিসেবে চায় ওয়াশিংটন।
এদিকে, একই বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। তারা মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকালে এক্স হ্যান্ডেলে (টুইটার) এক পোস্টে এ বিবৃতি দেয়।
বিবৃতিতে তারা জানায়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণ এবং গণতন্ত্র, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য তাদের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্র দেখেছে যে, ৭ জানুয়ারি, ২০২৪ এর সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন জিতেছে আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক বিরোধীদলের হাজার হাজার সদস্যের গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিন নানা অনিয়মের প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সাথে যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়ে অভিন্ন মতামত পোষণ করে যে, এই নির্বাচন অবাধ, বা সুষ্ঠু ছিল না এবং আমরা দুঃখিত যেসব দল এতে অংশগ্রহণ করেনি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের দিন এবং এর আগের মাসগুলোতে সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা জানায়। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার প্রতিবেদন বিশ্বাসযোগ্যভাবে তদন্ত এবং অপরাধীদের জবাবদিহি করতে উৎসাহিত করি। আমরা সব রাজনৈতিক দলকে সহিংসতা পরিহার করার আহ্বান জানাই।
সামনের দিনগুলোতে, একটি মুক্ত, উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে এগিয়ে নিতে, বাংলাদেশে মানবাধিকার ও সুশীল সমাজের সমর্থনে, জনগণের সাথে জনগণের এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করতে বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।