জাতীয়

নতুন মন্ত্রিসভায় থাকছেন যারা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায় পূর্ণ মন্ত্রী হচ্ছেন যারা: ওবায়দুল কাদের, আ ক ম মোজাম্মেল হক, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডা. দীপু মনি, মো. তাজুল ইসলাম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আনিসুল হক, মো. হাছান মাহমুদ, আব্দুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মো. আব্দুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন, মো. ফরিদুল হক খান, মো. জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান পাপন, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং সামন্ত লাল সেন।

প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন যারা: বেগম সিমিন হোসেন রিমি, নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মো. মহিববুর রহমান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বেগম রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী এবং আহসানুল ইসলাম টিটু।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তাদের ফোন করা হয়েছে।  

এর আগে, এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন ফোন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নতুন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের শপথ নেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। যারা মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন, তাদের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে টেলিফোনে জানানো হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর শপথ পড়াবেন। এরপর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি। শপথের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলে আগের মন্ত্রিসভা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।

এর আগে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়ে তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে জারি করা হয় প্রজ্ঞাপন।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন এবং তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।

এতে আরও বলা হয়, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। একাদশ সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে পেছনে ফেলে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ৬২ জন; যাদের মধ্যে ৫৯ জন আ.লীগেরই নেতা। আর জাতীয় পার্টির আসন পেয়েছে ১১টি। দুটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের শরিক দল জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং একটিতে জয় পেয়েছে কল্যাণ পার্টি। একটি আসনের ভোট গ্রহণ স্থগিত রয়েছে।