জাতীয়

‘মিল্কভিটাকে কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরেই কৃষকদের উৎপাদিত দুধের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত এবং ভোক্তাদের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত দুধ সরবরাহের জন্য দুগ্ধশিল্প গড়ে তোলার নির্দেশনা দেন। তার ফলে একটি বিপ্লব ঘটে। প্রায় ১৮ কোটি মানুষের দেশে দুগ্ধজাত পণ্যের বিশাল চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে মিল্কভিটাকে কার্যকর ও মর্যাদাবান প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডে (মিল্কভিটা) এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন মিল্ক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, মিল্কভিটার পণ্যের মান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী হতে হবে। কারণ, জনগণের পুষ্টি নিশ্চিত করতে কোনো অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। 

মিল্কভিটার পণ্যের চাহিদা ও মান বজায় রেখে সরবরাহ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ছিল—বঞ্চিত কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি আনয়নের মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। মিল্ক ইউনিয়ন দেশের গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নে স্বাধীনতার পর থেকে ভূমিকা রাখছে। মধ্যস্বত্বভোগীদের দ্বারা নিগৃহীত গ্রামের দরিদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের সমবায়ের মাধ্যমে সংগঠিত করে এ প্রতিষ্ঠান তাদের জন্য একটি ন্যায়ভিত্তিক বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। তাই, মিল্কভিটার মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখা সম্ভব। 

মতবিনিময় সভার শুরুতে মিল্কভিটার পরিচিতি ও কার্যক্রম নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করা হয় এবং প্রতিষ্ঠানের সম্ভাবনা ও সমস্যাগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এ সময় মিল্কভিটার চলমান প্রকল্পের বিভিন্ন অসঙ্গতি দূর করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া, অধিকতর গবেষণা ছাড়া নতুন প্রকল্প না নিতে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।