জাতীয়

রাজনৈতিক দল দমনের জন্য দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কোনও গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দলকে দমন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনটি স্থায়ী করা হয়নি বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনলাইনে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

রাজনৈতিক দলকে দমন করার জন্য কি আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন, ২০২৪ স্থায়ী করা হয়েছে— এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোনও গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দলকে দমনের জন্য দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী করা হয়নি। এই আইনের মাধ্যমে জ্বালাও-পোড়াও, সহিংসতাসহ অপরাজনীতি বন্ধ করা গিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দ্রুত বিচার আইন কার্যকরের সুফল পাওয়া গেছে। তাই অপরাধের বিচার দ্রুত করার জন্য আইনটি স্থায়ী করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দ্রুত বিচার কার্যক্রম হওয়ায় এটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অনেক কার্যকর হয়েছে। বিরোধী দল দমন নয়, যারা অবরোধ করবে, যারা আইনশৃঙ্খলা অস্থিতিশীল করবে তাদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হবে।

সংসদের প্রথম দিন বিএনপি কালো পতাকা মিছিল করেছে— এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, নতুন সরকারের সংসদের প্রথম দিনে কালো পতাকা মিছিল করে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করাটা ঠিক হয়নি। এজন্য পুলিশ বাধা দিয়েছে।

রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে বাধা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটালে এরকম কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না।

বিএনপি নেতা মঈন খানকে আটকের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, মঈন খানকে আটকের ঘটনায় ধাক্কাধাক্কি হলে সেটা ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটেনি। মঈন খানকে ইচ্ছে করে ধাক্কা দেয়নি পুলিশ। এ ধরনের পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই ধাক্কাধাক্কি হয়।

এর আগে, ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ডিএএমএস) নামের সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চালানো হবে জা‌নি‌য়ে মন্ত্রী ব‌লেন, এ ব্যবস্থার আওতায় আবেদনকারী ঘরে বসেই আবেদন ট্র্যাকিং করতে পারবে। লাইসেন্সধারী একটি স্মার্ট কার্ড পাবেন। এ কার্ডের মাধ্যমে লাইসেন্স-সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করা যাবে। এ ছাড়া, ডিলারদের আগ্নেয়াস্ত্র-গোলাবারুদ মজুত, আমদানি, কেনাবেচা-সংক্রান্ত সব তথ্য এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা করা হবে।

‘সাংবাদিকেরা আমাকে প্রায় জিজ্ঞেস করতেন সারা দেশে টোটাল আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স কতগুলো আছে এবং কতগুলো নতুন দিয়েছেন? আমি তখন উত্তর দিতে পারতাম না। কারণ, আমাকে তখন জেলা প্রশাসক (ডিসি) কাছের ফোন করে জানতে হত কয়টা আবেদন পেন্ডিং আছে, কয়টার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তথ্য ছাড়া আমরা কিছু বলতে পারতাম না। কিন্তু, এখন অনলাইনে আমরা এখানে বসেই এ মুহূর্তে জানতে পারবো মোট লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র কতটি। ডিলারদের কাছে কতগুলো আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। সেসব বিষয়ে জানতে পারবো। এটা এত একটা সুন্দর সিস্টেম, যার মাধ্যমে যুগান্তকারী সিস্টেমে যাচ্ছি’— ব‌লেন মন্ত্রী।