জাতীয়

শহিদ দিবস পালন নির্বিঘ্ন করতে ডিএসসিসির যত কার্যক্রম

মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন নির্বিঘ্ন করতে বরাবরের মতো এবারও বিশাল কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ২১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি আজিমপুর কবরস্থানে তিনজন ভাষাশহিদের কবরেও শ্রদ্ধা জানানো হবে। এ উপলক্ষে ওই দুই স্থানে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করেছে ডিএসসিসির যান্ত্রিক ও পরিবেশ সার্কেলসহ প্রকৌশল বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, পরিবহন বিভাগ এবং প্রশাসন শাখা। 

কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মগবাজার থেকে শহিদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণি-কাকরাইল মসজিদ-মৎস্য ভবন-শিক্ষা ভবন-দোয়েল চত্ত্বর-কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার; বঙ্গভবন থেকে জিরো পয়েন্ট হয়ে আব্দুল গণি রোড- শিক্ষা ভবন-দোয়েল চত্বর-কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার; কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে স্বাধীনতা চত্ত্বর হয়ে পলাশী-আজিমপুর কবরস্থান পর্যন্ত ফুটপাত, সড়ক বিভাজক ও ড্রেন পরিষ্কার করা হয়েছে। এসব এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ব্যানার অপসারণ করা হয়েছে। সড়কের পটহোলস, ক্রসকাটিং, ফুটপাত ও সড়ক বিভাজক মেরামত ও রং করা, বৈদ্যুতিক বাতি সচল রাখা এবং মিডিয়ানের গাছের ডালপালা ছাঁটাই করা হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশে রোড মার্কিং, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সংস্কার ও মেরামত করা হয়েছে। আগত দর্শনার্থীদের জন্য দুটি মোবাইল টয়লেট লরি সরবরাহ করা হয়েছে। 

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও এর আশপাশের এলাকায় বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হয়েছে, তা ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। বিদ্যুৎ বিভাগের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও এর আশপাশের এলাকার রাস্তায় বৈদ্যুতিক বাতির সচলতা নির্বিঘ্ন রাখতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। এই বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করা ও বৈদ্যুতিক বাতি সচল রাখতে তাৎক্ষণিকভাবে সব ধরনের সহযোগিতার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার সংলগ্ন এলাকায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। 

২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাষাশহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।