নিজের লেখা দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে বই দুটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
‘সকলের তরে সকলে আমরা’ বইয়ে জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ১৯টি ভাষণ এবং সেগুলোর ইংরেজি অনুবাদ স্থান পেয়েছে।প্রধানমন্ত্রী রচিত অপর বই ‘আহ্বান’-এ ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জাতির উদ্দেশে দেওয়া তার গুরুত্বপূর্ণ ভাষণগুলো স্থান পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম বই দুটি গ্রন্থনা ও সম্পাদনা করেছেন।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল এবং ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোট ১৯ বার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের বিতর্ক পর্বে যোগ দিয়ে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলায় ভাষণ দেওয়ার ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রতিবারই মাতৃভাষা বাংলায় বক্তব্য দিয়েছেন।
ভাষণ দেওয়ার সময় তার বক্তব্য ইংরেজিসহ জাতিসংঘের অন্যান্য অফিসিয়াল ভাষায় একসঙ্গে অনুবাদ করা হয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিতর্ক পর্বের ভাষণে সমসাময়িক অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক নানা বিষয় উপস্থাপিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যেসব বিষয় তার ভাষণে স্থান পেয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আছে: এমডিজি, এসডিজি, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, বিশ্বশান্তি, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা, অভিবাসন ইত্যাদি। প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিতর্ক পর্বে প্রদত্ত ১৯টি ভাষণ এবং সেগুলোর ইংরেজি অনুবাদের সমন্বয়ে ‘সকলের তরে সকলে আমরা’ সঙ্কলন গ্রন্থ। প্রদত্ত ভাষণগুলো বিষয়বস্তু ও প্রাঞ্জল উপস্থাপনার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে পরিগণিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০০৯ থেকে ২০২৩-এর অক্টোবর পর্যন্ত জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণগুলোর সঙ্কলনগ্রন্থ ‘আহ্বান’। ভাষণগুলোর বেশিরভাগই সরকারের বর্ষপূর্তিতে দেওয়া। কয়েকটি ভাষণ তিনি দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিলগ্নে।
বিডিআর বিদ্রোহ, গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে এবং সহযোগিতা চেয়ে তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। এছাড়া, বাংলা নববর্ষ, ঈদ, স্বাধীনতা এবং বিজয় দিবস উপলক্ষেও তিনি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কয়েকটি ভাষণ দিয়েছেন। বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণগুলোতে প্রধানমন্ত্রী সাধারণত সরকারের উন্নয়ন অর্জনসমূহ তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার রূপরেখা তুলে ধরেছেন।
এছাড়া, দেশ গঠনে বিরোধী দলগুলোর গঠনমূলক ভূমিকা প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমসাময়িক ঘটনাবলী, উন্নয়ন অর্জন, দেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শন ও ভাবনা এবং সর্বোপরি জনগণের সেবক হিসেবে তার ভূমিকার বিষয়টি এসব ভাষণে উঠে এসেছে। সঙ্কলন গ্রন্থটি সময়ের পরিক্রমায় গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে।