জাতীয়

ভুল-ত্রুটির বিষয়ে ডিসিদের সতর্ক করা হয়েছে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী 

ছোট-খাটো ভুল-ত্রুটির বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য-অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, আমরা সতর্ক করে দিয়েছি যে, ছোট ভুলের জন্য সারা দেশের কর্মকর্তারা যেন বিব্রত না হন। এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের পর প্রথম জেলা প্রশাসক সম্মেলন হচ্ছে। তাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী খুব চমৎকারভাবে বার্তাগুলো দিয়েছেন। আমরা আলোচনা করেছি, মানসম্মত সেবাটা কীভাবে নিশ্চিত করতে পারি। আমরা চাচ্ছি, সেবার মান আরও কীভাবে বাড়াতে পারি।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযোগের জায়গাগুলো পয়েন্টআউট করেছি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচের তলায় বিআরটিএর অফিস আছে এবং সে অফিসে দুর্নীতি আছে, জেলা প্রশাসক জানেন না। আমি বলেছি যে, প্রত্যেকটা বিষয়ে আমাদের খোঁজ-খবর রাখতে হবে। আমাদের মনিটরিং বাড়াতে হবে যে জায়গাগুলোতে অভিযোগ আছে, সেই জায়গাগুলোয়।

‘আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে দাম রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সেগুলো যেন নিবিড়ভাবে মনিটরিং করা হয়। এমনভাবে তা করতে হবে, যেন সমস্যা তৈরি না হয়। মোবাইল কোর্ট থাকবে, কিন্তু কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এ বিষয়ে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

মন্ত্রী যোগ করেন, ‘আমরা তাদের (ডিসি) বলেছি যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিদর্শন আরও বাড়াতে হবে, যাতে লেখাপড়ার মান আরও উন্নত করতে পারি। হাসপাতালে পরিদর্শন বাড়াতে হবে।

জেলা প্রশাসকররা ১৩টি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন, জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, তার উত্তর আমরা দিয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে আরও ১২টি প্রশ্ন তারা করেছিল। একজন ডিসি বলেছেন, আমাদের হাসপাতালে যে ডোম থাকে, একটা লাশ কাটার জন্য মাত্র ৬৫ টাকা দেওয়া হয়। তাদের টাকাটা বাড়ানোর বিষয়টি যৌক্তিক। একজন ডোম থাকেন এবং তিনি পুরুষ। যখন নারীর মরদেহ আসে তখন তার জন্য নারী ডোম থাকা প্রয়োজন। খুবই চমৎকার প্রশ্ন করেছেন। আমরা উত্তর দিয়েছি। বলেছি যে, বিষয়টি অবশ্যই দেখব কীভাবে বাড়ানো যায়।

তিনি বলেন, সার্কিট হাউজে নৈশপ্রহরীর নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন, আমরা উত্তর দিয়েছি।

রেস্টুরেন্টে আগুন ও নিরাপত্তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, একটা রেস্টুরেন্টে ১০-২০টি চুলা আছে। ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা থাকে না। অনুমতি দেবেন বুঝে-শুনে। সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি শতভাগ করতে হবে।

‘মার্চ-এপ্রিলে অগ্নিকাণ্ড বেশি ঘটে। আমাদের সতর্কতা প্রয়োজন। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। কোনো কাস্টমার যদি কোথাও গিয়ে দেখেন যে, সেখানে ঝুঁকি আছে, তারা যেন ৯৯৯ বা ৩৩৩-তে ফোন দেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানান, তখন আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব,’ বলেন তিনি।

কোনো ডিসি মাঠে রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়ে কিছু বলেছেন কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকের কাজের সঙ্গে আমাদের রাজনীতিবিদের কাজের কোনো জায়গায় সাংঘর্ষিকতা নেই। তবে, আমরা বলেছি, কোনো জায়গায় সমস্যা হলে তারা বিভাগীয় কমিশনারকে জানাবে, সমাধান না হলে আমাদের সঙ্গে বা জনপ্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করবে। আমরা যথাযথভাবে সমাধান দিতে পারব।