জাতীয়

‘জাতীয় লক্ষ্য অর্জনে চট্টগ্রামের উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বন্দরনগরী চট্টগ্রাম সব সময় সারা বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রাজধানী। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চট্টগ্রামের অবদান অনস্বীকার্য। তাই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের গড়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন, সে লক্ষ্য অর্জনে চট্টগ্রামের উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ 

শনিবার (৯ মার্চ) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করা শুধু বরাদ্দকেই বোঝায় না, বরং নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের আয় বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করে স্বাবলম্বী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠাকে বোঝায়। প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদকে নিজ নিজ এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার বিষয়ে ভাবতে হবে। মানুষের আয় বৃদ্ধি পেলে এবং সহজে নাগরিক সেবা পেলে মানুষ রাজস্ব দিতে উৎসাহ বোধ করবে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সে বরাদ্দের সুফল যাতে জনগণ সঠিকভাবে পায়, সেজন্য সিটি কর্পোরেশনের সকল স্তরের সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে যানজট ও জলাবদ্ধতামুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। 

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী চট্টগ্রাম নগরীর যানজট নিরসনে রাস্তা প্রশস্তকরণের জন্য নেওয়া যেকোনো উদ্যোগে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

ইনসিনারেশন পদ্ধতিতে চট্টগ্রাম নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে মন্ত্রী বলেন, কর্ণফুলী নদী ও বঙ্গোপসাগরকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে এর বিকল্প নেই। 

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাস্তাগুলো সংস্কার করার জন্য আইডি নাম্বার দেওয়া হবে, যাতে একই রাস্তায় বরাদ্দ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফ, মহিউদ্দিন বাচ্চু ও আব্দুস সালাম, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম, ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার রাজিব রঞ্জন।