শরীরকে সচল ও শারীরিক সক্ষমতার জন্য খাদ্য তালিকায় প্রচুর পানি থাকতে হবে। শরীরের প্রত্যেকটি কাজে পানির প্রয়োজন। পানি রক্তে ও কোষে অক্সিজেন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। পৃথিবীর প্রায় সমস্ত জীবের জন্যই পানি অত্যাবশ্যকীয়। মানব জাতিসহ অন্যান্য প্রাণীর জীবনধারণের জন্য সুপেয় পানি অপরিহার্য। আজ বিশ্ব পানি দিবস।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘শান্তির জন্য পানি’ । দিবসটি পালনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতি বছর ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস পালন করা হয়। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিওতে এ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সেখানে পানিসম্পদের জন্য একটি বিশেষ দিন ঘোষণার দাবি তোলা হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয় এবং এরপর থেকে এ দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
প্রদত্ত বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, পানির সুষম প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে পানি সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎস হতে ভোক্তা অবধি পানির ন্যায়সঙ্গত বণ্টন ও টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
প্রদত্ত বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পানির প্রতিটি ফোঁটার সর্বোত্তম ব্যবহারই নিশ্চিত করতে পারে পানির সর্বজনীন ন্যায়ভিত্তিক বণ্টন ও ব্যবস্থাপনা।
তিনি বলেন, পানি শান্তি কিংবা সংঘাত ঘটাতে পারে। পানির অসম বণ্টন বা দুষ্প্রাপ্যতা উত্তেজনা ও সংঘাত সৃষ্টি করে। সুষম পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের সমৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহজতর হলে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।