টিসিবি সারাদেশে প্রায় এককোটি উপকারভোগী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি অব্যাহত রেখেছে।
এই প্রক্রিয়ায় উপকারভোগী পরিবারকে কিভাবে নির্বাচন করা হয়েছে তার একটি হালনাগাদ তালিকা সংগ্রহ করে কমিটির কাছে পাাঠানোর সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি’র দ্বিতীয় বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার (১ এপ্রিল) কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ’র সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সদস্য মো. আশরাফ আলী খান খসরু, সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, মো. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, আনোয়ারুল আশরাফ খান এবং নাজমা আক্তার বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি)’র সার্বিক কার্যক্রম; টিসিবির সর্বশেষ বার্ষিক রিপোর্ট; টিসিবির উপর সিএজি কর্তৃক প্রণীত ও সংসদে পেশকৃত অডিট রিপোর্টের অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তি; টিসিবি’র বিগত তিন বছরের স্থিতিপত্র, আয়-ব্যয় ও লাভ-লোকসান হিসাব এবং হিসাবের বিষয়ে কোন বিশেষ প্রবণতা থাকলে সে বিষয়ে টিসিবির সর্বশেষ হিসাব (আর্থিক ও কনফিডেনশিয়াল ম্যানেজমেন্ট) এবং মধ্যমেয়াদী বাজেট কাঠামোর আওতায় আগামী তিন অর্থ বছরের গৃহীতব্য অনুমিত হিসাবের বিবরণী এবং এর সাথে বিগত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের অর্জনের তুলনামূলক চিত্রসহ টিসিবি’র ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে টিসিবি’র অডিট আপত্তির বিবরণীর অডিট রিপোর্টের ধরনে কমপ্লায়েন্স অডিটে ১৯৯৭-১৯৯৮ এবং ২০১০-২০১১ এর মধ্যে কোন অডিট আপত্তির রিপোর্ট না থাকার কারণ আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কমিটির নিকট পেশ করার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।
টিসিবি এবং সিএন্ডএজি’র কার্যালয়ের অডিট আপত্তিসমূহের কোন মিল না থাকায় একটি সভার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে কমিটিকে অবহিত করার জন্য সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বাজেট ডকুমেন্টের সরকারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা ও সিজিএ কর্তৃক সরকারি প্রতিষ্ঠানের তালিকার সাথে কার্যপ্রণালী বিধির চতুর্থ তফসিলে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানসমূহের তালিকা মিল রেখে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করে সকলকে অবহিত করার জন্য পুনরায় সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহিদ, সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ মা-বোন, জাতীর চার নেতা এবং ভাষা আন্দোলনে সকল শহিদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, আইএমইডি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, টিসিবি’র চেয়ারম্যান, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।