জাতীয়

অটিস্টিক শিশুদের চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা ও ঈদ উপহার বিতরণ

২ এপ্রিল বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। প্রতি বছরের মতো অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হয়। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য— ‘সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন: শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’। 

অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে বেইট আলফা অটিস্টিক ফাউন্ডেশন মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরে আলোচনা সভা, দুই শতাধিক অটিস্টিক শিশুকে নিয়ে চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা এবং তাদের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করে। 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নাট্যব্যক্তিত্ব ও আলোকচিত্রী শঙ্কর সাঁওজাল বলেন, অটিস্টিক শিশুদের জন্য আলাদা জায়গা প্রয়োজন, যেখানে তারা নিজেদের ভাবনা আদান-প্রদান করতে পারবে। 

অনুষ্ঠানের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে আমি শিখেছি যে, কীভাবে শিশুদের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। এজন্য অটিস্টিক শিশুদের ন্যূনতম মৌলিক কাজ শেখাতে হবে। শিশুর পছন্দ, অপছন্দ, ভালোলাগার জিনিসকে গুরুত্ব দিতে হবে। এ বিষয়গুলোর একটা তালিকা করে পরিবারের সব সদস্য এবং স্কুলের শিক্ষক, প্রশিক্ষককে জানাতে হবে। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন—নারায়ণগঞ্জ চারুকলা অনুষদের অধ্যক্ষ সামছুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলার সিরামিকস অনুষদের অধ্যাপক ও চিত্রশিল্পী মো. রবিউল ইসলাম। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নোঙর ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সমাজকর্মী সুমন শামস বলেন, অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের শারীরিক আঘাত করা থেকে বিরত থাকতে হবে। শিশুদের প্রতি সুন্দর সহজ, সরল ব্যবহার করতে হবে। তারা আমাদের সন্তান। তাদের খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে হবে। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। অটিস্টিক শিশুকে অবহেলা না করে তাদেরকে সেবাযত্ন ও ভালোবাসা দিয়ে সক্ষম ও কর্মক্ষম করে তোলা সমাজের প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব। 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন—ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর কাজল আরেফিন অমি, অভিনেতা এবং ডাক বাক্স ফাউন্ডেশনের সভাপতি জিয়াউল হক পলাশ। চিত্রাঙ্কণ কর্মশালা এবং প্রদর্শনীর পরিচালনা করেন চিত্রশিল্পী আশরাফুল কবির কনক। আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি আরমিন সোমা এবং সহ-সভাপতি রমের মোর্শেদ।