জাতীয়

গাবতলীতে নেই যাত্রীর চাপ

একদিন পরেই মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল ফিতর। তবে ঈদের আগের দিন দেশের অন্যতম ব্যস্ত টার্মিনাল গাবতলীতে যাত্রীর চাপ নেই। স্বাভাবিক সময়ে যেমন যাত্রীদের চাপ থাকে ঈদযাত্রার সপ্তম দিনে তেমন যাত্রীও দেখা যায়নি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার ঈদের ছুটি আগেই শুরু হওয়ায় কর্মজীবীরা এরই মধ্যে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাই আজ বাড়ি ফেরা মানুষের তেমন চাপ নেই। এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে আজ ১০ এপ্রিল থেকে। আর অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে, অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। তারা আগেই বাড়ি চলে গেছেন।

বুধবার (১০ এপ্রিল) গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, কাউন্টারগুলোতে পরিবহনসংশ্লিষ্টরা অলস সময় পার করছেন। টার্মিনালে পার্কিং করে রাখা হয়েছে অনেক বাস। আর গুটিকয়েক যেসব গাড়ি চলাচল করছে, সেগুলোতে কিছুটা বাড়তি ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে।

পরিবহনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্দিষ্ট সময়ে যাত্রী পূর্ণ করে বাস ছেড়ে যাচ্ছে। গাবতলী স্টেশনে কোনও যাত্রী নামলে, হাঁক ছাড়ছেন পরিবহনশ্রমিকরা। কাউকে টেনে আনছেন কাউন্টারের কাছে। ঈদের ছুটি লম্বা হওয়ায় এবার আগেভাগেই গ্রামে গেছেন মানুষ। যাত্রীরা নির্দিষ্ট সময়ে বাস পেলেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। আর শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গাবতলীতে আসতে পোহাতে হচ্ছে ‘বকশিস বিড়ম্বনা’।

যাত্রীদের অভিযোগ অস্বীকার করে সাকুরা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার বলেন, ভাড়া বেশি রাখার সুযোগ নেই। বিআরটিএ, পুলিশ, মিডিয়া সবাই আছে। এক টাকা বেশি রাখছি না। কাউন্টারে যাত্রী কম জানিয়ে তিনি বলেন, সকালে ৮টি গাড়ি গেছে। সবগুলোই যাত্রী পূর্ণ করে গেছে। দুপুরে আরও ২টা গাড়ি আছে। সেগুলোর কোনও স্ট্যান্ডিং টিকিট নেই।

তিনি বলেন, আমরা বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোতে যাই। পদ্মা সেতু হওয়ার পরে আমাদের যাত্রী কমে গেছে।

গোপালগঞ্জগামী সেবা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের বিকেলে ২-৩টি বাস আছে। বাসের কয়েকটা সিট এখনও অবিক্রীত আছে। এবার যেহেতু লম্বা ছুটি যাত্রীরা আগেই বাড়ি গেছে। অতিরিক্ত যাত্রী না হওয়ায় আমরা ট্রিপের বাইরে নতুন কোনও বাস নামাতে পারিনি।

প্রসঙ্গত, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।