ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ভক্তদেরকে নৈতিক গুণাবলিসম্পন্ন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ধর্মীয় বিষয়াদি দেখভাল করার পাশাপাশি ভক্তদের জীবনযাত্রাকে আরো সুন্দর ও অর্থবহ করে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে। ভক্তদের মননে সেবা ও দেশপ্রেম জাগ্রত করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
শুক্রবার (৩ মে) বিকেলে বাংলাদেশের ক্যাথলিক চার্চের ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের সহকারী বিশপ সুব্রত বনিফাস গমেজের অভিষেক ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ক্যাথলিক খ্রিষ্টানরা এ দেশে শিক্ষা ও সেবায় বিশেষ অবদানের পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।
নতুন সহকারী বিশপ তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশ ও জাতির উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে খিষ্টান সম্প্রদায়কে অগ্রণী ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান তিনি।
খ্রিষ্টানদের কল্যাণে সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০১৮ প্রণীত হয়েছে। এ আইনের আলোকে খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট নানামুখী উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এ ট্রাস্টের মাধ্যমে চার্চের সংস্কার বা মেরামত ও সানডে স্কুলে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে চার্চে নিয়মিতভাবে অনুদান দেওয়া হয়। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের কল্যাণে আরো কিছু নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।
উল্লেখ্য, পোপ ফ্রান্সিস ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের সহকারী বিশপ হিসেবে ফাদার সুব্রত বনিফাস গমেজকে মনোনয়ন দিয়েছেন।
আর্চবিশপ বিজয় এন ডি ক্রুশের সভাপতিত্বে অভিষেক ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশপ, ফাদার, সিস্টার ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। নতুন সহকারী বিশপের সম্মানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।