জাতীয়

কুইক রেন্টাল আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়নি: প্রধানমন্ত্রী

দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন যেখানে ১৬০০ মেগাওয়াট ছিল, আজকে সেখানে ১৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি আমরা উৎপাদন করতে পারছি।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীর আগে বক্তব্য দেন দ্বাদশ সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। 

কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ আইন নিয়ে সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়নি। বরং, বেসরকারি খাতে প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্র করেছি। সামিট খুলনায় ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন করতে দেরি করেছিল, যে কয়দিন দেরি করেছিল, প্রতিদিন ১০ হাজার ডলার করে তাদের জরিমানা দিতে হয়েছে। সেই জরিমানা আমি আদায় করেছি। দায়মুক্তি আমরা দেই না, এটা মাথায় রাখতে হবে।

তিনি বলেন, ওই (কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ) আইনে দায়মুক্তির কোনো ধারাও নেই। দায়মুক্তি কী, কেউ যেন মামলা করতে না পারে, বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে না পারে, আমার কাজ বন্ধ করতে না পারে। কারণ একটা দেশে উন্নয়ন করতে হলে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনটা কী? প্রয়োজনটা হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ দেওয়া। আমি যদি বিদ্যুৎ দিতে পারি সেখানে কর্মসংস্থান এমনি হয়।

কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর এমন কোনো দেশ আছে, যেখানে ক্যাপাসিটি চার্জ ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর হয়? একটা দেশ দেখান। এই ক্যাপাসিটি চার্জ বলে বলে সব চিৎকার। এটা বলে চিৎকার, ওটা বলে চিৎকার।

কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে যারা বিভিন্ন প্রশ্ন তোলেন, তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, প্রশ্ন ওঠান, বিশেষ আইন কেন করলাম? বিশেষ আইন এজন্য করেছি, আমি তো ব্যক্তি খাতে সব উন্মুক্ত করে দিয়েছি, আর ব্যক্তি খাতে উন্মুক্ত করে দিলে পরে সেখানে তো নতুন আইন করেই করতে হবে। আমি যদি দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যাই, শুধু সরকার দিয়ে করলে তো হবে না। আমাকে ব্যক্তি খাতে দিতেই হবে। ব্যক্তি খাতে না দিলে তো কর্মসংস্থানও বাড়ে না।