জাতীয়

ভেপিং পণ্য নিষিদ্ধের প্রস্তাব বাদ দিতে তৎপরতা চালাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো

খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে ই-সিগারেট ও ভেপিং পণ্য নিষিদ্ধের প্রস্তাব বাদ দিতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো তৎপর হয়ে উঠেছে। এতে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে তামাকবিরোধী জোটগুলো। 

ভেপিং পণ্য নিষিদ্ধের প্রস্তাবসম্বলিত খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিরোধিতা করে বেসরকারি সংস্থা পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ একটি দৈনিক পত্রিকার সঙ্গে গত ২৭ মে ‘পলিসি ফর প্রগ্রেস: টুওয়ার্ডস হার্ম রিডাকশন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক করেছে। অংশগ্রহণকারীদের কয়েকজন ফিলিপ মরিসের (পিএমআই) কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে জড়িত। আগেও তারা পিএমআইর অর্থপুষ্ট ফাউন্ডেশন ফর এ স্মোক ফ্রি ওয়ার্ল্ড (বর্তমানে গ্লোবাল অ্যাকশন টু এন্ড স্মোকিং নামে পরিচিত) এর অনুদানপ্রাপ্ত ফোরামে অংশগ্রহণ করেছে।

উল্লেখ্য, ই-সিগারেট ও ভেপিং পণ্যের ব্যবহার উৎসাহিত করতে ভয়েস অব ভেপারস এবং এশিয়া হার্ম রিডাকশন অ্যালায়েন্স একই আলোচকদের নিয়ে একটি সম্মেলন এবং গোলটেবিল বৈঠক করেছিল ২০২৩ সালে। এর নেপথ্যে ছিল ফাউন্ডেশন ফর এ স্মোক ফ্রি ওয়ার্ল্ডের অনুদানপ্রাপ্ত সংস্থা এবং প্রতিনিধি। ভয়েস অব ভেপারস দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে ই-সিগারেট ও ভেপিং পণ্যের প্রসারে কাজ করছে এবং এটি ওয়ার্ল্ড ভেপারস অ্যালায়েন্সের অফিসিয়াল পার্টনার, যার অর্থ সহায়তা আসে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) থেকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভেপিং, ই-সিগারেটের মতো ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টসকে (ইটিপি) ‘মারাত্মক স্বাস্থ্য হুমকি’ হিসেবে অভিহিত করেছে।জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে ইতোমধ্যে ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ ৩৪টি দেশ ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করেছে। 

দ্রুততম সময়ের মধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনী চূড়ান্ত করার মাধ্যমে বাংলাদেশেও এসব পণ্যের উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী জোটগুলো।