আসন্ন প্রবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষ্যে দেশে পশুর হাটসমূহে ভেটেরিনারি সেবা দেওয়া হবে। সারা দেশে পশুর হাটগুলোতে থাকবে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম। তারা পশুর চিকিৎসার পাশাপাশি ক্রেতা-বিক্রেতাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে কোরবানির পশুর হাটে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আসন্ন ঈদ যেন শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিটি মানুষ পালন করতে পারে তার সব ধরনের ব্যবস্থা সরকার করেছে।
জানা গেছে, এ বছর ঢাকায় ১৯টি হাটে এবং সারাদেশে এক হাজার ৮২টি স্থায়ী এবং দুই হাজার ১৬টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটে মোট এক হাজার ৭৫২টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করবে। ক্রেতা সাধারণের সুস্থ্য গবাদিপশু ক্রয়ে এবং হাটে আগত পশুর স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক পরামর্শ দেবে তারা। হাটে বিভিন্ন ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সুবিধা বিদ্যমান থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হটলাইন ১৬৩৫৮ চালু রয়েছে।
এ ছাড়া চামড়ার গুণগত মান নিশ্চিতে কোরবানির পশুর সঠিকভাবে চামড়া ছাড়ানো ও সংরক্ষণ বিষয়ে একত্রিশ হাজার ৭৯৯ জন পেশাদার ও অপেশাদার মাংস প্রক্রিয়াকারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। পরিবেশ সমুন্নত রেখে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি এবং কোরবানির বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে পোস্টার, লিফলেট, উঠান বৈঠক, ঠিভি টক-শো, রেডিও প্রোগ্রাম চলমান রয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হন সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হবে। হাটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োজিত থাকবে। বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও কোন খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলে তাকে হাসিল দিতে হবে না। খামারি পশু দূরবর্তী হাটে নিতে চাইলে, রাস্তাঘাটে জোর করে নামাতে বাধ্য করা যাবে না। হাটে আনার পথে কেউ পশু বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারা গ্রাহক জোর করে চাঁদা বা হাসিল গ্রহণ করতে পারবে না। মহাসড়কে বা যেখানে হাট বসালে যান চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন কিছু যাতে না হয় এবং সড়কে বা সেতুতে কোরবানির পশুবাহী গাড়িকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, যাতে রাস্তায় পশু আটকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না হয়।
সকল গবাদিপশু সড়কপথ, রেলপথ এবং নৌপথে পরিবহনের সময় পশু ও পশু বিক্রেতার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ছিনতাই রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।