ছয় ধরনের গবাদিপশু দিয়ে কোরবানি করা যায়। উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। তবে, খাওয়া হালাল এমন সব ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি করা যায় না। যেমন, হরিণ খাওয়া হালাল হলেও হরিণ দিয়ে কোরবানি করা যায় না।
ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এ তিন পশু একজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করা যায়। উট, গরু ও মহিষ এ তিন পশু কোরবানিতে সর্বোচ্চ সাতজন শরিক হতে পারে। অর্থাৎ একজন, দুজন, তিনজন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাতজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে একটি পশু কোরবানি করা যাবে।
একটি গরু কোরবানিতে সাত শরিক থাকা বা সাতটি নাম থাকা জরুরি নয়। এক গরু এক নামেও কোরবানি করা যায়। দুই, তিন, চার বা পাঁচ নামেও কোরবানি করা যায়। এ রকম ক্ষেত্রে যে কয়জন শরিক থাকবে, সবাই ওই পশু কেনায় সমান অর্থ দেবে এবং মাংসও সমানভাবে ভাগ করে পাবেন।
অনেকে মনে করেন, একটি গরু কোরবানিতে সাতজন শরিক থাকা বা সাতটি নাম থাকা জরুরি। এ ধারণা সঠিক নয়। সর্বোচ্চ সাতজন পর্যন্ত শরিক থাকার সুযোগ রাখা হয়েছে, সাত নাম বা সাত শরিক রাখা আবশ্যক করা হয়নি।
যাদের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব : কোরবানি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরআনে আল্লাহ তাআলা নামাজের সাথে যুক্ত করে কোরবানি করার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয় আমি তোমাকে কাওসার দান করেছি। সুতরাং তোমার রবের উদ্দেশে সালাত আদায় করো ও কোরবানি করো। নিশ্চয় তোমার প্রতি শত্রুতা পোষণকারীই নির্বংশ’- (সুরা কাওসার: ১-৩)।
আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘যার কোরবানি করার সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ইদগাহে না আসে’- (সুনানে ইবনে মাজা: ৩১২৩)।
প্রসঙ্গত, মুসলমান নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যারাই আরবী জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখে নিজেদের নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে অতিরিক্ত সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার সমমূল্যের সম্পদের মালিক থাকেন, তাদের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব করা হয়েছে।