জাতীয়

কমলাপুর হাটে ছোট গরুর চাহিদা বেশি 

আর মাত্র এক দিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। এরইমধ্যে জমে উঠেছে রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটগুলো। কয়েক দিনের তুলনায় বেচাকেনা বেড়েছে। 

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে কমলাপুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের গরু বিক্রি হচ্ছে। তবে, এখানে ছোট গরুর চাহিদা বেশি। 

মেহেরপুরের গরুর ব্যাপারি আমিরুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, আমি তিনটি গরু হাটে নিয়ে আসি। এর মধ্যে একটি বড় ও দুটি ছোট। ছোট গরু দুটি বিক্রি হয়ে গেছে। এখন বড় গরুটি বিক্রি নিয়ে চিন্তা হচ্ছে। দুই দিন ধরে অনেকেই বড় গরুটির দাম বলে যাচ্ছেন। কিন্তু, কেউ নেওয়ার মতো দাম বলছে না। প্রতিবারই আমি এই হাটে গরু বিক্রি করি।

সিরাজগঞ্জের পাইকার হেদায়েতুল্লাহ বলেন, আমি ১২টি গরু নিয়ে এসেছিলাম। এর মধ্যে ছোট ৮টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে। বড় ৪টি গরু এখনো বিক্রি হয়নি। অনেকে এসে দাম বলে যাচ্ছেন। কিন্তু, কেউ সঠিক দাম বলছেন না। সবাই দেখে চলে যাচ্ছেন। 

হাট ঘুরে দেখা যায়, ব্রাদার্স ইউনিয়ন মাঠ, টিটি পাড়া সংলগ্ন এলাকা, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনের জায়গা, গোপীবাগসহ আশপাশের হাট সংলগ্ন এলাকা গরু-ছাগলে ভরপুর। ছোট গরু সংখ্যায় তুলনামূলক কম। তবে, ছোট গরু বিক্রি হচ্ছে বেশি। এ হাটে গরুর দাম তুলনামূলক কম।

মতিঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুই দিন ধরে এই হাটে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও র‍্যাবের সঙ্গে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মোতায়ন করা হয়েছে। হাটের ভেতরে মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টি প্রতিরোধ এবং জাল টাকা শনাক্ত করতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই হাটে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি। 

হাটের ইজারাদার বলেছেন, হাটে বড় গরু বেশি থাকলেও ঈদের এখনো দুই দিন বাকি। এর মধ্যেই পাইকারদের গরুগুলো বিক্রি হয়ে যাবে। চাঁন রাত পর্যন্ত পশু বিক্রি হবে। হাটে থাকা সব গরু বিক্রি হবে বলে আশা করছি।