জাতীয়

তিল ঠাঁই নেই, সদরঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

দুদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ সামনে রেখে রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নদীপথে ঢাকা ছাড়ছেন অসংখ্য মানুষ। 

শনিবার বিকাল ও সন্ধ্যায় সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সদরঘাট থেকে যেসব রুটে দিনে এবং রাতে লঞ্চ ছেড়ে যায়, সেগুলো দুপুরের আগেই ঘাটে নোঙর করে। কেবিনের যাত্রীরা কিছুটা বিলম্ব করে এলেও ডেকের যাত্রীরা আগেভাগেই ঘাটে পৌঁছে যান। অনেক যাত্রী যানজটের আশঙ্কা থেকেও আগেভাগে টার্মিনালে চলে আসেন। 

এ দিকে যাত্রী বোঝাইয়ের পর আরও বেশি যাত্রী ওঠানোর জন্য লঞ্চ শ্রমিকদের হাঁকডাক লক্ষ্য করা গেছে। সন্ধ্যায় প্রায় প্রতিটি লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঘাট ছেড়েছে। 

যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের আওতায় এবার সদরঘাট টার্মিনাল থেকে ১৮০টি লঞ্চ ছাড়বে। এসব নৌপরিবহনের মধ্যে ঢাকা থেকে ছাড়বে ৯০টি, বিভিন্ন স্থান থেকে ৯০টি ঢাকায় আসবে।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সদরঘাটে লঞ্চ যাত্রীর সেই চিরচেনা ভিড় আর নেই। তবে ঈদ বা উৎসব পার্বণ এলে কিছুটা চাপ বাড়ে। এবার ঈদুল আজহায় যাত্রীদের চাপ অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বাড়িফেরা মানুষের চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে লঞ্চ শ্রমিকরা জানিয়েছেন। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার সকাল থেকেই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীর চাপ ছিল। সন্ধ্যায় সেই চাপ কয়েকগুণ বেড়েছে। টার্মিনালে এ সময় ছিল উপচে পড়া ভিড়। প্রায় প্রতিটি লঞ্চ ছিল যাত্রী বোঝাই। ডেকে জায়গা পেতে লঞ্চ ছাড়ার ছয়–সাত ঘণ্টা আগেই লঞ্চে উঠে পড়তে দেখা গেছে অনেককে। 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ঈদ যাত্রায় সব ধরনের  নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। কোনো লঞ্চ যেন অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই না করে সে জন্য আমরা যথেষ্ট সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ঢাকা নদীবন্দর থেকে ৯৪টি লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। শুক্রবার ছেড়ে গেছে  ১১২টি লঞ্চ। আজ শনিবারও একইসংখ্যক লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। 

এ ছাড়া যাত্রীর চাপ বিবেচনায় বিআইডব্লিউটিএ অতিরিক্ত ১২–১৩টি স্পেশাল লঞ্চের ব্যবস্থা রেখেছে বলে জানা গেছে।