জাতীয়

‘৫০০ টাকার টিকিট ৮০০ টাকায় কিনে যাচ্ছি’

রাজধানীর ফুলবাড়িয়া আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন পথে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কাউন্টার থেকে বাস ছেড়ে যেতে ৪০ থেকে ৬০মিনিট পর্যন্ত সময় নিচ্ছে। আজ রোববার (১৬ জুন) ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।

যাত্রীরা বলছেন, বাধ্য হয়ে তারা বাড়তি টাকা দিয়ে বাড়ি ফিরছেন। পরিবহনকর্মীরা বলছেন, ফেরার সময় বাস ফাঁকা থাকে। সে কারণে ঈদ করতে তারা কিছু টাকা বাড়তি আদায় করছেন।

ঈদ ছাড়া অন্য সময়ে ঢাকা-বরিশাল সড়কপথে বাসের ভাড়া নন এসি ৫০০ টাকা। এখন নন এসি ৮০০ টাকা ৯০০ টাকা। এসি ৮০০ টাকার ভাড়া ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা।

আনন্দ পরিবহন ও ইলিশ পরিবহনের বাস কাউন্টার থেকে সকাল ৯ টার দিকে ঢাকা–বরিশালগামী নন-এসি বাসের টিকিট ৮০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল। সেখান থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে দুটি টিকিট কাটেন মো. আব্দুর রাজ্জাক রবিন নামের এক ব্যক্তি।

বেসরকারি একটি সংস্থায় কর্মরত মো. আব্দুর রাজ্জাক রবিন বলেন, কয়েক জায়গায় ঘুরলাম। টিকিট পাচ্ছিলাম না। এখানে পেলাম। বেশি ভাড়া নিলেও তো কিছু করার নেই। তাই ৫০০ টাকার টিকিট ৮০০ টাকা দিয়ে যাচ্ছি।

বেশি ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওই কাউন্টারের সুপার ভাইজার মো. মালেক পরিচয়ে এক ব্যক্তি বলেন, ফেরার সময় যাত্রী পাওয়া যায় না। রাস্তার খরচ ও তেলের খরচ, বাস ফাঁকা নিয়ে আসতে হয়। তাই বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

একই কথা বললেন দক্ষিণাঞ্চলে চলাচলকারী ইলিশ পরিবহনের চালক আবদুস সামাদ। তারাও ঢাকা থেকে বরিশাল রুটে ৮০০ টাকা ভাড়া নিয়েছেন।

অন্যপথেও বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। রাজধানীর বংশাল থেকে গোপালগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশে এ টার্মিনালে পরিবার নিয়ে আসেন জমির উদ্দীন। তিনি ইমাদ পরিবহন থেকে পরিবারের সবার জন্য ৪ টি টিকিট কাটেন। তাদের কাছ থেকে ৩২০০ টাকা রাখা হয়েছে। জমির উদ্দীন বলেন, এই পাসে আমরা নিয়মিত গোপালগঞ্জ  যাই। তখন ৫০০ টাকা করে রাখা হতো। এখন ৮০০ টাকা করে রাখা হচ্ছে। ৪ জনের টিকিটে ১ হাজার ২০০ টাকা লাগলো।

ইলিশ পরিবহনের চালকের সহকারী মনির হোসেন বলেন,ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখে যানজট থাকে। এ কারণে নির্দিষ্ট সময়ে গাড়ি ছাড়া যাচ্ছে না।