জাতীয়

আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় চলছে পশু কোরবানি

মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা আজ সোমবার (১৭ জুন)। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করছেন। আজ যারা কোরবানি করতে পারবেন না তারা আগামী দুদিন কোরবানির সুযোগ পাবেন।

ঈদের দিন সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি দিতে দেখা গেছ। ত্যাগের মহিমায় যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পশু কোরবানি করছেন তারা। কেউ কোরবানি দিচ্ছেন রাস্তায় থাকা নির্ধারিত স্থানে আবার কেউ কোরবানি দিচ্ছেন বাসা বাড়ির গ্যারেজে। কসাইরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। চামড়া ছাড়িয়ে মাংস কাটার কাজ করছেন তারা।

এদিকে কোরবানির পর সৃষ্ট বর্জ্য অপসারণ রাস্তায় কাজ করা শুরু করে দিয়েছে দুই সিটি কর্পোরেশন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাজধানীর থেকে কোরবানি বর্জ্য অপসারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।

ঈদের দিন সকাল থেকে কোরবানি শুরু হয়ে সারাদিনই তা চলবে। আজ যারা কোরবানি করতে পারবেন না, তারা আগামী দুই দিনও কোরবানি করার সুযোগ পাবেন। বিশেষ করে পুরানো ঢাকায় ঈদের পরের দুই দিনও পশু কোরবানির রেওয়াজ চালু রয়েছে।

সকালে রাজধানীর বংশাল, রায়েরবাগ, চানখারপুলসহ বিভিন্ন এলাকায় কোরবানি করতে দেখা গেছে। এবার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে পশু কোরবানির জন্য নির্ধারিত স্থান রাখা হয়নি। কেউ কেউ নিজেদের উদ্যোগে অস্থায়ী শেড তৈরি করেছেন। এরপরও পশু জবাই দেওয়া হয়েছে রাস্তায়। এতে ওই রাস্তাগুলোতে পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়া কোরবানি পশুর বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে না ফেলে ড্রেনে ফেলতে দেখা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা হাজী ইউসুফ মিয়া বলেন, গতবারের মতো এবারও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পশু জবাই দেওয়ার জন্য নির্ধারিত স্থান করে দেওয়া হয়নি। ফলে অনেকেই রাস্তায় পশু কোরবানি দিচ্ছেন। তবে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বাড়ির আঙ্গিনায় পশু জবাই দেওয়ার জন্য গত কয়েক দিন ধরে মাইকিং করেছে। এছাড়া মসজিদের মাইকে একই কথা বলা হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের রাইজিংবিডিকে বলেন, পশু জবাই করার জন্য নির্ধারিত স্থান গত কয়েক বছর করা হয়েছিল। তবে সেখানে মানুষ যায় না। এতে অর্থের অপচয় হয়। ফলে সিটি করপোরেশনের পর্ষদ সভায় কাউন্সিলররা পশু জবাই করার জন্য নির্ধারিত স্থান নিয়ে আপত্তি জানান। তাদের আপত্তির পর থেকে গত দুই বছর ধরে ঈদে পশু জবাই দেওয়ার জন্য নির্ধারিত স্থান রাখা হয়নি। তবে নগরবাসীকে আমরা মাইকিং করে নিজ বাসার আঙ্গিনায় পশু জবাই দিতে অনুরোধ জানিয়েছি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসরণ করা হবে।