জাতীয়

রাজধানীতে ঈদ জামাতে ফিলিস্তিনের জন্য শান্তি কামনা

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহা মুসলমানদের অন্যতম একটি উৎসবের দিন। ঈদগাহ আর মসজিদে মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজে অংশ নিয়েছেন সব শ্রেণি-পেশার লাখো মুসলমান।

সোমবার (১৭ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন ঈদগাহ এবং মসজিদে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি বিশ্ববাসীর শান্তি প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া, ঈদের বিশেষ এই মোনাজাতে স্থান পেয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আহত, নিহত ও বাস্তুচ্যুত হওয়া ফিলিস্তিনিরাও। তাদের জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়েছে।

এর আগে ঈদের নামাজ পূর্ব বয়ানে ইমামরা উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপায়, কোরবানির শিক্ষা, কোরবানির সঠিক পদ্ধতি, কোরবানি করা পশুর চামড়ার অর্থ গরিব-দুঃখীদের দেওয়া, সামর্থ্য অনুযায়ী দান সদকা করাসহ ইসলাম এবং ইসলামী শরিয়তের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থান পায় এসব বয়ানে।

সোমবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে এবারের কোরবানির ঈদের প্রধান জামাত হয়। সেখানে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিন।

ঈদ জামাত শেষে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন পশু কোরবানির তোড়জোড়ে। এবার ঢাকায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পশু জবাই করার জন্য আলাদা স্থান ঠিক করে দেওয়া হয়নি। বরাবরের মতই নগরজুড়ে রাস্তা ও অলিগলিতে পশু জবাইয়ের দৃশ্য দেখা গেছে।

ঢাকায় কোরবানি করা পশু এবং কোরবানির হাট মিলিয়ে অন্তত ৩৯ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হবে ধরে নিয়ে সেগুলো দ্রুততম সময়ে অপসারণের চ্যালেঞ্জ নিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।

ঈদের দিন দুপুর ২টা থেকে এই বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে। ঢাকা উত্তরের লক্ষ্য বেশ উচ্চাভিলাসী, তারা ছয় ঘণ্টার মধ্যে এবং দক্ষিণ সিটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শহর পরিচ্ছন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে।