জাতীয়

অন্য এক ঢাকা

জ্যামে বসে থাকার বিড়ম্বনা নেই। নেই গাড়ির বিকট হর্ন। গাড়ির কালো ধোঁয়ার বিষাক্ততা নেই। কোলাহলের পরিবর্তে শান্ত এক শহর এখন ঢাকা। এ এক অন্যরকম ঢাকা।

প্রতি বছর ঈদের কয়েকদিন এই ঢাকার সাথে পরিচিত হয় নগরবাসী। এ সময় ঢাকাকে অন্য কোনো শহর মনে হয় না। এই সময় ঢাকায় স্বাচ্ছান্দ্যে চলা যায়। সময়ের ক্ষতি হয় না। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে যাওয়া যায় নিমিষেই। এবার ঈদুল আজহায় সেই ঢাকার দেখা মিললো।

পবিত্র ঈদুল আজহার আগে শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় এবার লম্বা ছুটি পেয়েছেন কর্মজীবী মানুষ। আর সেই সুযোগে আগেই বাড়ি ফিরে গেছেন তারা। এর ফলে প্রাণের শহর ঢাকা একটু দম পেয়েছে। যেন নিজেই লম্বা একটা শ্বাস নিচ্ছে ব্যস্ততার পর।

ঢাকা এখন ফাঁকা। সোমবার (১৭ জুন) ঈদের সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। রামপুরা, বাড্ডা, খিলগাঁও, সবুজবাগ, তেজগাঁও, যাত্রাবাড়ী, ধোলাইপাড়, শনিরআখড়া, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান, পল্টন, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, মতিঝিল ঘুরে দেখা গেছে রাস্তাঘাট একেবারেই ফাঁকা। তবে অলিগলিতে পশু কোরবানি দেওয়ায় মানুষের জটলা আছে। মূলত পশু কোরবানির কাজে এখন মানুষ ব্যস্ত। বিকেলের দিকে অবসর পেলে ফাঁকা ঢাকায় মানুষ ঘুরতে বের হবে।

এদিকে, রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনেরও সংকট আছে। হাতে গোনা বাস সার্ভিস চলমান আছে। এছাড়া সিএনজি, উবার, পাঠাওয়ে মানুষ চলাফেরা করছে। তবে তাতে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কিছুটা ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে।

রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে বাড্ডা যাবেন হাবিব ইয়াসির। সিএনজি ভাড়া করলে তাতে বেশ বেশি ভাড়া দাবি করা হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ের ভাড়া যেখানে ৩০০ টাকার মতো সেখানে ৫০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। অবশেষে সাড়ে ৪০০ টাকায় যেতে পারলেন তিনি।

ভাড়া বেশি নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে সিএনজিচালক মফিদুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে জানান, এমনি সময়ে যাত্রী বেশি থাকে। সব সময় যাত্রী পাওয়া যায়। ঈদের দিনে যাত্রী কম। স্বাভাবিক সময়ে যতো ট্রিপ তিনি পেতেন এখন পাচ্ছেন না। তাছাড়া ঈদের দিন হওয়ায় ঈদ বোনাস হিসেবে কিছুটা বেশি নিচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।

তবে সড়কে এসব যানবাহনের পাশাপাশি রিকশার আধিক্য দেখা গেছে। বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা প্রধান সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।