জাতীয়

ডিএসসিসি এলাকায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ শুরু

গত বছরের মতো এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে কাজ শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার (১৭ জুন) দুপুর ২টায় ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে স্থাপিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

এ সময় তিনি বলেন, ঈদের দিন যে বর্জ্য সৃষ্টি হবে, সেটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে। ঈদের পরের দিন যে বর্জ্য সৃষ্টি হবে, সেটাও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে।  

ডিএসসিসি থেকে জানা গেছে, কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে সংস্থাটির নিজস্ব জনবল রয়েছে ৪ হাজার ৯৯৭ জন। এছাড়া, প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডার (পিসিএসপি) ৪ হাজার ৫০০ জন (প্রতি ওয়ার্ডে গড়ে ৬০ জন করে) থাকবে। মোট ৯ হাজার ৪৯৭ জন বর্জ্য অপসারণে কাজ করছেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ডাম্প ট্রাক ২০৭টি, কম্পেক্টর ৪৬টি, কন্টেইনার ক্যারিয়ার ৪৭টি, পে-লোডার ২৪টি, টায়ার ডোজার ১২টি, স্কিড লোডার ৮টি, ব্যাক হো লোডার ৪টি, পানির গাড়ি ৯টি, বুলডোজার ২টি, স্কেভেটর ৮টি, গাড়িবাহী এয়ার কম্প্রেসার ৩টি, ফর্ক লিফট ২টি, হাইড্রলিক ক্রেন ২টি, লং ট্রলি ২টি, প্রাইম মুভার ২টি, রেকার ১টি এবং জেড অ্যান্ড সাকার-১টি ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া, প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডার (পিসিএসপি) ৭৫টি ওয়ার্ডে ১৫০টি মিনি ট্রাক ব্যবহার করছে। সামগ্রিক কার্যক্রম তদারকিতে নিয়োজিত থাকবে আরও ৩০টি গাড়ি। সব মিলিয়ে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে ৫৬০টি যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত আছে।

কোরবানির পশুর হাটের ময়লা অপসারণে ৭৭০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী (১১টি হাটে গড়ে ৭০ জন করে) থাকবে।  যান-যন্ত্রপাতির মধ্যে ৫৭টি ডাম্প ট্রাক, ১২টি পে-লোডার ও ১১টি টায়ার ডোজার এবং প্রতিটি হাটে আলাদা আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ রয়েছে।

গত বছর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী এবং বিজিবির কাছ থেকে পে-লোডার, ডাম্প ট্রাক, টায়ার ডোজার ও পানির গাড়ি নেওয়া হয়েছিল ১৪টি। এবার সক্ষমতা বাড়ায় কোনো বাহিনীর কাছ থেকে যান-যন্ত্রপাতি নেওয়া হচ্ছে না।

ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছিম আহমেদ বলেছেন, ঢাকা দক্ষিণে ২৪ ঘণ্টার মধ‌্যে বর্জ‌্য অপসারণের লক্ষ্যে কাজ করবে ৯ হাজার ৪৯৭ জন। কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সুষ্ঠু তদারকির লক্ষ্যে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।