জাতীয়

ঈদের দিনে রমনা পার্কে উপচেপড়া ভিড় 

পবিত্র ঈদুল আজহার দিন সোমবার (১৭ জুন) রাজধানীর অন্যতম প্রধান বিনোদনকেন্দ্র রমনা পার্কে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। সকাল ও দুপুরে ঈদের নামাজ ও কোরবানির ব্যস্ততা শেষে বিকেলে বিনোদনপ্রেমী মানুষরা পরিবার-পরিজন নিয়ে রমনা পার্কে একটু সুন্দর সময় কাটানোর জন্য এসেছেন। সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে শিশু চত্বরে। 

রাজধানীর লালবাগ থেকে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে রমনা পার্কে ঘুরতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী নাহিদ হাসান। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, সাধারণত প্রতি ঈদের দিন বিকেলে আমি সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে রমনা পার্কে আসি ঘুরতে। আমার ছেলে শিশু চত্বরের দোলনাসহ বাচ্চাদের জন্য রাখা বিভিন্ন খেলনা পছন্দ করে। রমনা পার্কে আসার মূল কারণ হলো—এখানে খোলামেলা জায়গা। বিশুদ্ধ বাতাস পাওয়া যায়। তবে, এবার দেখছি, ছবি তোলার ব্যবস্থা আছে। চাইলে টাকা দিয়ে পরিবারের সাথে ভ্রমণের মুহূর্তগুলো ছবিতে ধরে রাখা যায়।

পুরান ঢাকার সূত্রাপুর থেকে নাতি-নাতিনদের নিয়ে ঈদের দিন ঘুরতে এসেছেন আক্কাস আলী। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, রমনা পার্কের পাশেই আগে শিশু পার্ক ছিল, তখন বাচ্চাদেরকে শিশু পার্কে নিয়ে যেতাম। কয়েক বছর ধরে শিশু পার্ক বন্ধ আছে। তাই, এখন নাতি-নাতিনদের নিয়ে রমনা পার্কে ঘুরতে এসেছি। এখানে পরিবেশ ভালো। খোলামেলা জায়গা। বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্য আলাদা জায়গা আছে। এখানে বিকেলের পরিবেশটা খুব ভালো লাগে। 

রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রমনা পার্কে ঘুরতে এসেছে ব্যবসায়ী জাফর হাসান। তিনি বলেন, ঈদের দিন বাসার সকল কাজ শেষ করে পরিবারের সকলে মিলে আসছি রমনা পার্কে একটু আড্ডা দিতে। এখানে পরিবেশ বেশ চমৎকার। তবে, আজ মানুষের ভিড় বেশি। খোলামেলা পরিবেশে আড্ডা দিতে আমাদের খুব পছন্দ। 

রমনা পার্কে ঘুরতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আসিফ জামান রাইজিংবিডি বলেন, সামনে পরীক্ষা ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকায় এবার ঢাকায় ঈদ করতে হয়েছে। তাই, একটু অবসর সময় কাটানোর জন্য রমনাতে এসেছি। রাজধানী ঢাকার বুকে এমন সবুজে ঘেরা জায়গা আর নেই। এখানে মানুষজন আসে একটু শান্তিতে বসে আড্ডা দিতে। 

তবে, আজ রমনা পার্কের বেশিরভাগ দর্শনার্থী অভিযোগ করেছেন, রাস্তায় কম গাড়ি থাকায় বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে ঘুরতে আসে অনেক মানুষ। সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশায় বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।