প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে রাজধানীতে ফিরছেন মানুষ। তবে ঈদের চতুর্থ দিনে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে ট্রেনে ঢাকাগামী যাত্রীদের তেমন চাপ ছিল না।
চাকরিজীবী অনেকেই পরিবার পরিজনদের গ্রামের বাড়িতে রেখে একাই ফিরছেন, এতে চাপ কম বলে জানান যাত্রীরা। ফলে স্বস্তিতে কর্মস্থলে ফিরতে পেরে খুশি তারা।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, রেলওয়ে স্টেশনে ঈদযাত্রা শেষে ফিরতি মানুষের থেকে ঢাকা ত্যাগ করা মানুষের উপস্থিতি বেশি। অধিকাংশ মানুষই ঢাকা ছেড়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। কেউ কেউ আবার টিকিট সংগ্রহ করতে ব্যস্ত।
গাইবান্ধা থেকে ঢাকা আসা সাঈদ হোসেন জানান, সপ্তাহের শেষদিন হলেও আজ তার অফিসে যোগ দিতে হবে। ঈদের ছুটি শেষে আগেরদিন তার অফিস খুললেও আজ তার ডিউটি শুরু হচ্ছে।
অন্য একজন যাত্রী জানান, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি বলেন, আমাদের অফিসে একবারে সবাইকে ছুটি দেওয়ার সুযোগ নেই। গত ঈদে আমি ছুটি কাটিয়েছি। এই ঈদে ছুটি পাইনি। এজন্য আজ থেকে অন্যরা ডিউটি করবেন তাই আমি ছুটিতে যাচ্ছি।
এদিকে, যাত্রী চাপ না থাকায় আজ কমলাপুর স্টেশনের ট্রেনেরও চাপ নেই। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত রাজধানী থেকে প্রায় ৭০ জোড়া ট্রেন ছেড়ে গেলেও ঈদের দিন মাত্র একটি মেইল ট্রেন চলেছে। তবে গত মঙ্গলবার ঈদের দ্বিতীয় দিন কমলাপুর থেকে দুই তৃতীয়াংশ ট্রেন চলাচল করেছে।
গতকাল বুধবার থেকে সব ট্রেন চলাচল করছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন বলেন, ঈদের পরে সব ট্রেন চলে না। আজ থেকে সব ট্রেন চলাচল শুরু করেছে, একসঙ্গে অগ্রিম টিকিটের যাত্রাও শুরু হয়েছে।
রেলের ফিরতি যাত্রার টিকিট ১০ জুন থেকে বিক্রি হয়েছে। আন্তঃনগর ট্রেনের ২০ জুনের আসন বিক্রি হয় ১০ জুন; ২১ জুনের আসন বিক্রি হয় ১১ জুন; ২২ জুনের আসন বিক্রি হয় ১২ জুন; ২৩ জুনের আসন বিক্রি হয় ১৩ জুন; ২৪ জুনের আসন বিক্রি হয় ১৪ জুন। ২০ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ঢাকার বাইরে থেকে যাত্রীরা ঢাকায় ফিরবেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৯ জুন) সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো খুললেও যারা টানা ৬ দিন ছুটি পেয়েছেন তারা রাজধানীতে ফিরছেন আজ। ফলে শুনশান নীরবতা ও প্রশান্তি ভেঙে যানজট, কোলাহল, গাড়ির হর্ন, সেই চিরচেনা রুপে ফিরতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকা।