জাতীয়

‘অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সরকার বদ্ধপরিকর’

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এদেশকে স্মার্ট ও উন্নত করে তুলতে হাইড্রোগ্রাফি, সমুদ্র বিজ্ঞান এবং সুনীল অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বদ্ধপরিকর।

প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু মিলিটারি মিউজিয়ামে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আয়োজিত ‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে দিনব্যাপী সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিশিষ্ট পানি বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আইনুন নিশাত এবং ন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফি কমিটির চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আনোয়ার হোসেন বক্তৃতা করেন।

প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ক দূরদর্শিতার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গোপসাগরে ১,১৮,৮১৩ বর্গ কিলোমিটারজুড়ে বাংলাদেশের একচ্ছত্র সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত হয়েছে। সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি সুবিশাল  অর্থনৈতিক এলাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সুনীল অর্থনীতির বিকাশের লক্ষ্যে যেসব বহুমুখী উদ্যোগ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, তার অবারিত সুফল ভোগ করবে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সমুদ্র এলাকায় হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ পরিচালনা ও এ সংক্রান্ত সেবাদানের মাধ্যমে নিরাপদ নেভিগেশন ও সামুদ্রিক অর্থনীতির বিকাশে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ভবিষ্যতে আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, সুনীল অর্থনীতির বিকাশের লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের শাসনামলে পায়রা সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, বঙ্গবন্ধু টানেল এর মতো মেগা প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে এবং মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল পাওয়ার প্ল্যান্ট, নতুন এলএনজি টার্মিনাল, অফশোর রিনিউয়েবল এনার্জি প্রকল্প, সমুদ্র তলদেশের তেল ও গ্যাস সাপ্লাই পাইপলাইন এর মতো গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসব জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং কারিগরি বিষয়ে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভিসকে সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। বিশ্বের উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহকে আধুনিক হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ জাহাজ এবং স্মার্ট সরঞ্জাম সংযোজন করে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আজকের এই দিনব্যাপী সেমিনার আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশের মেরিটাইম সেক্টরের অংশীজন এবং নীতি নির্ধারকদের মধ্যে সমন্বয় আরও সুদৃঢ় হবে। সামুদ্রিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং সমুদ্রকে নিরাপদ ও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে দেশের সমুদ্র ব্যবহারকারী সকল সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

সেমিনারে মূল প্রতিপাদ্য হলো-‘হাইড্রোগ্রাফিক ইনফরমেশন-এনহান্সিঙ সেফটি, ইফিসিয়েন্সি অ্যান্ড সাস্টেইনএবিলিটি ইন মেরিন এক্টিভিটিস।’