জাতীয়

বিমান বাহিনীতে যুক্ত হলো যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পরিবহন বিমান

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পঞ্চম সি-১৩০জে পরিবহন বিমান।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বর্তমান সরকার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে অত্যন্ত সচেষ্ট। তারই ধারাবাহিকতায়, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ৫টি অত্যাধুনিক সি-১৩০জে পরিবহন বিমান যুক্তরাজ্যের রয়েল এয়ার ফোর্সের সাথে সরাসরি ক্রয় চুক্তি এবং মার্শাল এরোস্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স গ্রুপের সাথে রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তির মাধ্যমে বিমান বাহিনীতে সংযোজনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এর মধ্যে পঞ্চম সি-১৩০জে বিমানটি যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নিজস্ব বৈমানিক কর্তৃক সফল ফেরি মিশনের মাধ্যমে ২৭ জুন সন্ধ্যা ৬টা ৭ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে অবতরণ করে। 

এই মিশনের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এয়ার কমডোর সৈয়দ ফকরুদ্দিন মাসুদ। যাত্রাপথে বিমানটি তুরস্কের আনতালিয়া এবং ওমানের মাসকাটে যাত্রাবিরতি করে।

ঐতিহ্যগত রীতি অনুযায়ী বিমানটিকে বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্য হাইকমিশনার সারাহ কুক উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উক্ত ফেরি মিশনের সব কার্যক্রম বিমান বাহিনীর ওভারসিস এয়ার অপারেশন পরিদপ্তর কর্তৃক পরিচালনা করা হয়।

উল্লেখ্য, সি-১৩০জে পরিবহন বিমান অত্যাধুনিক এভিওনিক্স ও উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন বিমান যা মালামাল ও সৈন্য পরিবহনসহ দেশে এবং বিদেশে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ব্যবহৃত হবে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে অত্যাধুনিক এই সি-১৩০জে বিমানের অন্তর্ভুক্তি, বিমান বাহিনীর বিশ্বের যেকোনো স্থানে পৌঁছানো ও পরিচালন ক্ষমতা সর্বোপরি বাহিনীর সক্ষমতাকে বহুলাংশে বৃদ্ধি করবে।