জাতীয়

পাঁচ মাসে ৬১১টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান

চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত পাঁচমাসে সারা দেশে ১৭০টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬১১টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে ১৫ দশমিক শূন্য ৮ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে মো. সোহরাব উদ্দিনের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বর্তমানে সারা দেশে মোট ৬ হাজার ৮৭৬টি ইটভাটা রয়েছে। পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, এনফোর্সমেন্ট অভিযান ও নিয়মিত মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১০০ কর্মদিবসের অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ দূষণ নিয়ন্ত্রণে নানাবিধ কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কর্মপরিকল্পনার আওতায় ১০০ কর্মদিবসের মধ্যে ন্যূনতম ৫০০টি বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি হতে দেশব্যাপী ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, এ কর্মসূচির আওতায় ২৪ জুন পর্যন্ত সারা দেশে মোট ১৭০টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬১১টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১৫ দশমিক শূন্য ৮ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। অভিযানে ২৫০টি ইটভাটা ভেঙে ফেলা হয়েছে।

পরিবেশমন্ত্রী জানান, ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯)’ এর আলোকে সরকার বায়ুদূষণ রোধ ও কৃষি জমির মাটি ব্যবহার পর্যায়ক্রমে হ্রাস করার উদ্দেশ্যে সড়ক ও মহাসড়ক ব্যতিত সকল সরকারি নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কার কাজে ইটের বিকল্প হিসাবে পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্লকের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তর বা সংস্থাসমূহ ও নির্মাণ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। ব্লকের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বেস্ট (Bangladesh Environmental sustainability and Transformation project, BEST) প্রকল্পের বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণের মাধ্যমে প্রণোদনা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া, সারাদেশে মাটি বহনকারী ট্রাকের চাপায় দেশের সব রাস্তাঘাট নষ্ট হওয়া প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ থেকে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।