জাতীয়

জানুয়ারিতে ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচন

দেশব্যাপী উপজেলা নির্বাচন শেষ করেই ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের। চলতি বছরের ডিসেম্বরে দুই সিটি নির্বাচনের তফসিল দিয়ে আগামী বছরের (২০২৫) জানুয়ারিতে ভোট করার প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।

এছাড়া দুই সিটির নির্বাচন নিয়ে কোনো জটিলতা আছে কি না তা জানতে চলতি মাসেই স্থানীয় সরকার বিভাগকে চিঠি দেবে ইসি। চিঠির জবাব পেলেই এ নির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

তবে এবারের নির্বাচন ব্যালট পেপার নাকি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে হবে সে বিষয়ে তফসিল ঘোষণার আগে সিদ্ধান্ত নেবে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা রয়েছে। এপ্রিলে হওয়ার কথা এইচএসসি পরীক্ষা। তাই এসএসসি পরীক্ষার আগেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে ইসিকে। জানুয়ারির মাঝামাঝিতে বা শেষ সপ্তাহে দুই সিটি নির্বাচনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই সময়সীমা ধরেই নির্বাচন আয়োজনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভোট আগামী জানুয়ারির আগে হচ্ছে না। এ নির্বাচনের জন্য এখনো পর্যাপ্ত সময় আছে। সময়মতো নির্বাচন আয়োজনে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ইভিএমে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে লড়াই হয়েছিল প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রতীক নৌকা ও ধানের শীষের। তবে এবার আওয়ামী লীগ এ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নাও দিতে পারে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না সে বিষয় এখনো স্পষ্ট নয়।

ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। আর আইন অনুযায়ী করপোরেশনের প্রথম বৈঠক থেকে এর মেয়াদ গণনা শুরু হয়। এ ক্ষেত্রে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২০ সালের ২ জুন। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০২০ সালের ৩ জুন। সেই হিসাবে ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাচনি ক্ষণগণনা শুরু হবে চলতি বছরের ৪ ডিসেম্বর থেকে। আর দক্ষিণ সিটির ক্ষণগণনা শুরু হবে ৫ ডিসেম্বর। দুই সিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ১ ও ২ জুন। দিন গণনার শুরুর দিন থেকে যেকোনো দিন ভোটগ্রহণ করতে পারবে ইসি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভোটার তালিকা প্রস্তুতিসহ নির্বাচনের অন্যান্য বিষয়ে প্রস্তুতি চলছে। চলতি মাসে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিতে পারে নির্বাচন কমিশন। সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় ঢাকার দুই সিটি ভোটে ভোটার বাড়ানোর জন্য আগে থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

গত নির্বাচনের সময়ে দুই সিটিতে ভোটার সংখ্যা ছিল ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৭ জন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরে ৩০ লাখ ৯ হাজার ও ঢাকা দক্ষিণে ছিল ২৪ লাখ ৫২ হাজার জন ভোটার।