জাতীয়

আওয়ামী লীগের ‘এনার্জি ড্রিংক’ ভারত: রিজভী

ভারত এখন আওয়ামী লীগের এনার্জি ড্রিংক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

রোববার (৭ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য ফ্রন্টের ঢাকা মহানগরের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, ভারত আওয়ামী সরকারের অপরাধ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের রাজনীতি সমর্থন করে বলেই ভারত এখন আওয়ামী লীগের এনার্জি ড্রিংক। কারণ ভারত তাদের সঙ্গে থাকলে তারা সবকিছু করতে পারে।

রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, আর চীন উন্নয়নের। কারণ তাদের কাছে ভারতের সার্টিফিকেট থাকলে তারা সবকিছু করতে পারবেন। গোটা জাতিকে জিম্মি করে তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন। শেখ হাসিনার প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে বেনজীর-আজিজ কাণ্ডের মতো আরও অনেক কাণ্ড ঘটেছে। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে আছেন।

বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনা শুধু তার আমলেই নয়, ৭২’র পর থেকেই একের পর এক তারা ভুল করেছে। কারণ কোথায় যেনো তার রক্তে জেনেটিক্যালি একটা ফ্যাসিবাদের বীজ লুকিয়ে আছে। আমরাই সব, আমরা যা বলব সেটাই হবে। মানুষের যে অভিপ্রায় তারা কখনওই তার মূল্য দিতে জানে না। শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদের বীজ বপন করে গোটা জাতিকে আজ বিভক্ত করেছেন। বর্তমানে এরা গণতন্ত্রকে লাশ বানিয়ে ফেলেছে। তারা পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে বিভাজন তৈরি করেছে। লুটপাট যেন আওয়ামী লীগের ইশতেহার, কারও জমি দখল যেন তাদের অধিকার। লুটপাট, কালো টাকা, জমি দখলের মানসিকতার দল হলো আওয়ামী লীগ।

বিরোধী দলে থাকলে তারা একরকম থাকে, আর ক্ষমতায় এলে এরা প্রভু বনে যায় মন্তব্য করে রিজভী বলেন, তারা সমাজে এমন একটা বিভাজন তৈরি করেছে যে এখন আওয়ামী লীগ আর বিরোধী দলের মধ্যে কোনো সামাজিক সম্পর্ক পর্যন্ত নেই। আর যেখানে শেখ হাসিনার আত্মীয়দের পরিবারের এমপি আছে সেখানে তো ভয়ংকর অবস্থা। সেখানে বিরোধী দলকে দাঁড়াতেই দেওয়া হয় না। আপনারা বাগেরহাট, বরিশালে দেখেছেন কয়েকদিন আগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সমাবেশ পর্যন্ত করতে দেয়নি তারা।

তিনি আরও বলেন, ডেপুটি স্পিকারের ছেলে দুই শ’ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। তার বাবা ওকালতি করে দিন কাটাতেন। এত টাকা হলো কী করে? আজ বেনজির-আজিজ কাণ্ড সামান্য ঘটনা, আরও বড় বড় কাণ্ড আছে। শেখ হাসিনা প্রশ্রয় দেওয়ার কারণেই এসব ঘটছে। তিনিই তাদের দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়েছেন।

সুভাষ চন্দ্র বসুর সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিজন কান্তি সরকার, অপর্ণা রায় প্রমুখ।