দেশে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে। তবে এখনও ব্যবহার করা যাচ্ছে না ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া। কবে নাগাদ সোশ্যাল মিডিয়া উন্মুক্ত হবে?
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের কাছে। যদিও সুস্পষ্ট কোনো উত্তর দেননি তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটকের কোনো জবাবদিহি নেই। তারা একেক দেশে একেক ধরনের আচরণ করে। বুস্টিংয়ের মাধ্যমে তারা ঠিকই বাংলাদেশে ব্যবসা করছে, কিন্তু দেশের নিয়ম মানছে না। বাংলাদেশের নিয়ম মানতে তাদের চিঠি দেবে সরকার। এর জবাব দিতে এসব প্রতিষ্ঠানকে হাজির হতে বলা হবে। তারা এসে যদি সেই প্রতিশ্রুতি দেয় তারা এসব বিষয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করবে তখন আমরা বিবেচনা করে দেখব।
এ সময় ফেসবুকের বিকল্প মাধ্যম গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়ে পলক বলেন, বাংলাদেশ একটি বড় বাজার। এখানে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছেন। তাই নতুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তৈরির চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য উদ্যোক্তাদের অনুরোধ জানাচ্ছি।
মোবাইল ডেটা চালু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী শুক্র বা শনিবার মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) সঙ্গে বৈঠক করে রোববার-সোমবারের মধ্যে মোবাইল ডেটা চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।